ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন চায় ইইউ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:২০ এএম, ২০ এপ্রিল ২০১৭

শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের কথা বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তা অবশ্যই আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) আইন অনুযায়ী হতে হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে বৈঠককালে ইউ প্রতিনিধিদল এ দাবি জানায়।

৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন জার্মান কনফেডারেশন অব দ্য ট্রেড ইউনিয়নের (ডিজিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মাইকেল সমার। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিনজও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) আইন অনুযায়ী দেশের ইপিজেডগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের কথা বলেছে প্রতিনিধিদল।

তবে আমি (মন্ত্রী) জানিয়েছি, আমরা ইপিজেডগুলোতে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেছি। যারা শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ইপিজেডগুলোতে যারা কারখানা করেছেন তাদের কাছে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেখানে কোনো ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেয়া হবে না। কাজেই এখানে ট্রেড ইউনিয়ন করা যাচ্ছে না।

‘কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চাচ্ছে সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন হোক। তাই কিভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করা যায়, তার ফর্মুলা বের করতে হবে। যাতে ইইউয়ের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় থাকে।কারণ তারা আমাদের ভালো বন্ধু।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এটি নিয়ে আলোচনা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয় তা এ আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পাবে। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের বিশাল বাণিজ্য। সেখানে ৫৫ শতাংশ রফতানি হয়। অস্ত্র ছাড়া সব পণ্যের কোটা সুবিধা আমরা পাচ্ছি।

দেশের পোশাক কারখানার শ্রমিক নেতারা কারখানায় কাজ করেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য সমস্য। শ্রমিকরাও চান যারা কারখানায় কাজ করেন তারাই শ্রমিক নেতা হোক। কিন্তু দুর্ভাগ্য যারা কাজ করেন না, তারাই শ্রমিকদের নেতৃত্ব দেন।

এ সময় দেশে কোথায়ও কোনো শ্রমিক অসন্তোষ নেই বলেও দাবি করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেন, পোশাক কারখানা অনেক ভালোভাবে চলছে। আমাদের যে শ্রম আইন রয়েছে, সেটি আইএলও এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। শুধু ইপিজেড এ ট্রেড ইউনিয়ন নেই। সেটি নিয়ে আমরা ভাবছি কী করা যায়।

১৮ মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সার্বিক বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমরা বসবো। সেখানে অনেক কিছুই ঠিক হয়ে যাবে আশা করছি।

বৈঠকে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন (আইটিইউসি) ও জার্মান কনফেডারেশন অব দ্য ট্রেড ইউনিয়নের (ডিজিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মাইকেল সমার বলেন, বাংলাদেশ জার্মানির বিশ্বস্ত বন্ধু। দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত দৃঢ় সম্পর্ক বিদ্যমান। রানা প্লাজা ধসের পর যেভাবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়।

বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিকতা ও যথাযথ পদক্ষেপের কারণে এ পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণ সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।

এমইউএইচ/এমএমএ/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।