ধান-চাল সংগ্রহে দুর্নীতি করলে ব্যবস্থা : খাদ্যমন্ত্রী
চলতি বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের অভিযান সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত রাখা হবে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে কৃষকদের সরাসরি মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে এবার খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হবে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতি করলে ও অভিযানে কেউ কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে চাই। প্রতি কেজি ২৪ টাকা করে ধানের দাম ধরা হয়েছে। কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার জন্যই আমাদের এই পদক্ষেপ।
‘মধ্যস্বত্বভোগীরা এসে আমাদের এই উদ্দেশ্য ব্যহত করবে এটা আমরা হতে দেবো না। এবার আরো কঠোরভাবে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমানে আমরা বিদেশে চাল রফতানি করছি। ভূমিকম্পের সময় আমরা জাপানকে ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল সহযোগিতা দিয়েছি।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব কায়কোবাদ হোসেন, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. বদরুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এফএইচএস/এমএমএ/আরআইপি
