উপকূলীয় শহরের পরিবেশগত উন্নয়নসহ ৮ প্রকল্প অনুমোদন
উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ অবকাঠামো উন্নয়নে চলমান প্রকল্পে ব্যয় বাড়ল। দেশের দুই বিভাগের ১০ উপকূলীয় পৌরসভা জলবায়ু অভিঘাট মোকাবেলা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। এজন্য ব্যয় হবে ১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে দাতা সংস্থার কাছ থেকে ৮৪২ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। অনুমোদনের সময় প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ৮৭৪ কোটি টাকা।
এর বাইরে তিন হাজার ২৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ৮টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ৪১২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৩৪ কোটি ৫৯ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৮৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
উপকূলীয় শহরে পরিবেশগত অবকাঠামো (সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া, আমতলী, গলাচিপা, কলাপাড়া, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা ও দৌলতখান এবং খুলনা বিভাগের বাগেরহাট পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, পয়নিষ্কাশন, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পে দাতা সংস্থা এডিবিসহ কয়েকটি সংস্থা সহযোগিতা করবে। পরিবেশ পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষমতা তৈরি হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, পুলিশের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া সরকারি সব কর্মচারীর জন্য শতভাগ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো
• রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
• গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প (খুলনা জোন)। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
• গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প (কুমিল্লা জোন)। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
• গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প (রংপুর জোন)। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।
• কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট-মিঠামইন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
• বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫২ কোটি ১০ লাখ টাকা।
• ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জ দুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ১০ কিলোওয়াট এফ. এম বেতার কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি ৮ লাখ টাকা।
এমএ/এনএফ/পিআর