নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ‘ট্যাক্স হলিডে’ দাবি


প্রকাশিত: ০৮:৩৭ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৭

শেয়ার বাজারে কমপক্ষে ২০ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন তালিকাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে তিন বছরের জন্য ট্যাক্স হলিডের সুবিধা দেয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিইসি)। তারা বলছে,  শেয়ার বাজারের স্থিতিশীলতা ও মূলধন বাড়াতে নতুন নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তি জরুরি।

রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রাক-বাজেট আলোচনায় ডিএসই ও সিইসি যৌথভাবে এ প্রস্তাব দেয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন সিইসির এমডি সাইফুর রহমান মজুমদার, ডিইসির ভারপ্রাপ্ত এমডি আবদুল মতিন পাটোয়ারী, ডিএসসির পরিচালক আহাম্মেদ রসিদ লালী, ভ্যাংচার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি জিয়া উদ্দীন আহাম্মেদ, এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি সাহাবুদ্দীনসহ অন্যান্য অ্যাসেসিয়েশনের নেতারা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আয়কর নীতির সদস্য পারভেজ ইকবাল, শুল্কনীতির সদস্য লুৎফর রহমান ও ভ্যাট নীতি সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় শেয়ারবাজারকে কার্যকর ও গতিশীল করতে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় পাঁচ বছরের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জকে শতভাগ আয়কর অব্যাহতি, শেয়ার লেনদেনে ব্রোকারেজ হাউজের করহার কমানো, সব ধরনের সিকিউরিটিজের স্ট্যাম্প ডিউটি বাদ দেয়ার দাবি জানায় ডিএসই।
 
ডিইসির ভারপ্রাপ্ত এমডি আবদুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, বাজেট প্রস্তাবে শেয়ারবাজারের চলমান সংস্কার বাস্তবায়নে আর্থিক স্বাবলম্বিতা অর্জনে ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী পাঁচ বছর স্টক এক্সচেঞ্জের আয়ের ওপর শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা দাবি করছি। এছাড়া ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত রাখাতে হবে।
 
সিইসির এমডি সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, নতুন ও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে আকৃষ্ট করতে করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবটিও যথার্থ। বিনিয়োগকারীদের ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত রাখা হলে মানুষ শেয়ার ধরে রাখতে আগ্রহী হবে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি সাহাবুদ্দীন বলেন, এসএমই খাতের অনেক পণ্যের কোনো বার কোড নেই। ফলে শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। এর বাইরে আমদানি পর্যায়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য থাকা উচিত নয়।

এসএমই খাতের সব মূলধনী পণ্যের আমদানি শুল্ক অভিন্ন করা উচিত। এছাড়া প্রাইমারি পলিমার, ছাপার কালি, মুদ্রণশীল্পের শুল্ক কমানোর দাবিও জানান তিনি।

এমএ/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।