মৎস্য ও কৃষিখাতে বিনিয়োগ করতে চায় মালয়েশিয়া


প্রকাশিত: ০১:২৬ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৭
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগ করতে চান মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীরা। এ দেশের মাছের গুণগত মানের কারণেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি হচ্ছে সর্বসেরা। অনেক দেশেই এই চিংড়িসহ অন্যান্য মাছ রফতানি হচ্ছে। মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীরাও এসব খাতে বিনিয়োগ করে খাদ্য, মাছ, মাংস ও দুধ বিদেশে রফতানি করার চিন্তা-ভাবনা করছে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

মালয়েশিয়ার সারাওয়াক প্রদেশের কৃষি ও পল্লী অর্থনীতির আধুনিকায়ন বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ম্যালকম মুসেন লামহর নেতৃত্বে ৪১ সদস্যবিশিষ্ট একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে অর্থ বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশে আসেন। তারা আজ (রোববার) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন। মালয়েশিয়া চেম্বারের কয়েকজন নেতা ও সে দেশের ব্যবসায়ীরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা বাংলাদেশের মাছ বিশেষত গলদা ও বাগদা চিংড়ি, মাংস রফতানি, দুগ্ধজাত খাদ্যোৎপাদন, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পশুর টিকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশ থেকে বিশেষত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহে সনদমুক্ত পদ্ধতিতে মৎস্য রফতানি করা হয়। দেশের মাছের গুণগত মানের কারণেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৫ সাল থেকে মৎস্য রফতানিতে সবধরনের সনদের বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়। সম্প্রতি সীমিত আকারে কুয়েত, আবুধাবি, মালদ্বীপসহ কিছু দেশে গোসত রফতানি করা হচ্ছে বলেও তাদের জানানো হয়।

বৈঠকে মন্ত্রী জানান, বিশ্বে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি হচ্ছে সর্বসেরা। তিনি বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে অনুকূল পরিবেশ বিরাজমান থাকায় তাদের বিনিয়োগে উৎসাহ দেন। একইসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগ করে এ খাতকে সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি সৈয়দ আরিফ আজাদ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি ডা. মো. আইনুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এফএইচএস/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।