পতনবৃত্তে শেয়ারবাজার


প্রকাশিত: ০৯:৫৭ এএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৭

দরপতনের বৃত্তে আটকা পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দেশের উভয় পুঁজিবাজারে মূল্য সূচকের বড় দরপতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। এর ফলে উভয় বাজারে টানা তিন কার্যদিবস দরপতনের ঘটনা ঘটলো। আর শেষ আট কার্যদিবসের মধ্যে দরপতন হয়েছে ছয়দিনই।

গত ৩০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের লভ্যাংশ ঘোষণার পর থেকেই পুঁজিবাজারে এ নেতিবাচক অবস্থা বিরাজ করছে।

রোববার মূল্য সূচক ও লেনদেন কমার পাশাপাশি অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২১৪টির বা ৬৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে।

অপরদিকে দাম বেড়েছে ৮৬টির বা ২৬ শতাংশের। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির বা ৯ শতাংশের দাম।

এদিন ব্যাংক, বীমা, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, খাদ্য এবং আর্থিক খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন হয়েছে। তবে কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

লেনদেন হওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে ১৫টির দাম কমেছে এবং বেড়েছে ১৩টির।

সব থেকে বেশি দরপতন হযেছে বীমা ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। বীমা খাতের ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬টিরই দরপতন হয়েছে।

আর দাম বেড়েছে মাত্র ৭টির। আর্থিক খাতের ২৩টির মধ্যে ১৮টির দাম কমেছে এবং ৪টির দাম বেড়েছে। ব্যাংক খাতের লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৯টির দরপতন হয়েছে। আর বেড়েছে ১১টি প্রতিষ্ঠানের।

এছাড়া প্রকৌশল খাতের ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২টির দাম কমেছে এবং বেড়েছে ৭টির। ওষুধ খাতের ২৮টির মধ্যে ১৬টির দাম কমেছে এবং বেড়েছে ১১টির। খাদ্য খাতের ১৮টির মধ্যে ৯টির দাম কমেছে এবং বেড়েছে ৬টির। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৮টির মধ্যে ১৫টির দাম কমেছে এবং বেড়েছে ৩টির।

রোববার দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৭৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ১৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ২৩৯ কোটি ২১ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সাইফ পাওয়ার টেকের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আরএসআরএম স্টিলের ৩২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, ওয়ান ব্যাংক, এসিআই, বেক্সিমকো ফার্মা এবং আইডিএলসি।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৬৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৭১৯ পয়েন্টে। বাজারটিতে ৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদন হয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৩৭টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ১৪৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দাম।

এমএএস/এমএমএ/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।