বাংলাদেশে জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী চেক ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চেক প্রজাতন্ত্রের ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা। এছাড়া বাংলাদেশে জ্বালানি, স্টিল, অবকাঠামো, তেল ও গ্যাস, কয়লা উত্তোলন, পেট্রো-কেমিক্যাল, ইউরিয়া সার উৎপাদন শিল্পে বিশ্বমানের প্রযুক্তি সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চেক প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত মিলোসলাভ স্টেসেকের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের এক ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠককালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি, শিল্পখাতে বিনিয়োগ, জ্বালানিতে দক্ষ প্রযুক্তি স্থানান্তরসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় হয়।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার উদার বিনিয়োগ ও শিল্পনীতি অনুসরণ করছে। এ নীতির সুযোগ নিয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে সরাসরি অথবা যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারেন। তিনি বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ, জ্বালানি সাশ্রয়ী ইউরিয়া সার কারখানা নির্মাণ ও রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি কলগুলোর আধুনিকায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দিতে প্রতিনিধিদলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। চেক প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ থেকে অধিকহারে ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাক ও কৃষিজাত পণ্য আমদানি করতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার শিল্পখাতে বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়। ইতোমধ্যে চীন, জাপান ও ভারতের জন্য সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্রের বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসলে সরকার তাদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
চেক রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ৬ শতাংশেরও বেশি ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে বৈদেশিক বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিণত করেছে। দেশের প্রায় ১৬ কোটি জনসংখ্যা এ সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. ফরহাদ উদ্দিন, বাংলাদেশে চেক প্রজাতন্ত্রের অনারারি কনসাল এএসএম মহিউদ্দিন মোনেমসহ চেক ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/বিএ/আরআই