চিংড়ি উৎপাদন বাড়াতে বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০২ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৭

গলদা চিংড়ির চাষ বাড়াতে হলে এ খাতে বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন রয়েছে। ছোট বা মাঝারি কোনো বিনিয়োগকারী খুব বেশি অবদান রাখতে পারবে না। কারণ গলদা চিংড়ি চাষে বড় অর্থ লগ্নির প্রয়োজন হয়। এ অবস্থায় দেশের ব্যাংকসহ আথিক প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসতে পারে। চিংড়ি চাষ অত্যন্ত লাভজনক একটি খাত। যা অনেকেই জানে না। বুধবার রাজধানীতে মৎস্য ভবনে মৎস্য খাতে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

মৎস্য বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালার যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশন (বিএসএফএফ), মৎস্য বিভাগ ও বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক।

প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরিফ আজাদ জীবনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে একমত প্রকাশ করেন এবং চিংড়ি হ্যাচারির সবস্তরে প্রতিকূলতা দূরীকরণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার কথা উল্লেখ করেন।

এছাড়া কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে বলা হয়, নানাবিধ কারণে গলদা চিংড়ির আশানুরূপ রেণু উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এগুলোর মধ্যে হচ্ছে ভালো মানের রেণুর অপ্রতুলতা, পানি ব্যবস্থাপনা, ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব, পরজীবীর উপদ্রব, অনুপযুক্ত জীব-নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হবে।

কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ, মৎস্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কৃষিসম্প্রসারণ কর্মী, ক্যাটালিস্টের প্রতিনিধি, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল, ব্র্যাক এবং বিভিন্ন শিল্পের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের সবাই দেশের গলদা চিংড়ি হ্যাচারি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ পরিকল্পনা প্রণয়নের সুপারিশ করেন।

এমএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।