সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগাতে দক্ষ জনবল বৃদ্ধিতে গুরুত্ব


প্রকাশিত: ০৮:১৬ এএম, ২৯ মার্চ ২০১৭

ব্লু ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন করতে হবে।

পাশাপাশি সমুদ্র অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে সুশাসন, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া সমুদ্র অর্থনীতিনির্ভর দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করাও প্রয়োজন।

বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইসমাইলি জামায়াতখানা সেন্টারে ঢাকার ফ্রান্স দূতাবাস এবং বাংলাদেশ সরকারের ব্লু ইকোনমি সেল আয়োজিত ‘সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভাবনাকে সুদৃঢ়করণ’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি আলবার্ট। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল আহসান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী ও ব্লু ইকোনমি সেলের অতিরিক্ত সচিব গোলাম শফিউদ্দিন।

বক্তারা বলেন, বিরাট সমুদ্র এলাকা অর্জনের পর সমুদ্রসম্পদ আহরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে এর জন্য এখনই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি আলবার্ট বলেন, সমুদ্র এখন এক নতুন দিগন্ত। কেননা এটি অর্থনীতির সব সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই সমাজের উন্নয়নের জন্য সমুদ্রের অন্বেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য, স্বাস্থ্য, জ্বালানির মত মৌলিক বিষয়সহ জলবায়ুর পরিবর্তন ইস্যুতে সমুদ্র গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ভূমিকা পালন করছে।

আগামী বছরগুলোর জন্য ইতোমধ্যে একটি সামুদ্রিক বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্বে অতীতে অর্থনৈতিক এবং শিল্প বিপ্লব হয়েছে। সবচেয়ে সাম্প্রতিকতম হলো ডিজিটাল বিপ্লব।

এজন্য সতর্কতার সঙ্গে সমুদ্র অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্লু ইকোনমির মাধ্যমে ফ্রান্স বার্ষিক ২৭০ বিলিয়ন ইউরো আয় করে, যা দেশটির জিডিপির প্রায় ১৪ শতাংশ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম বলেন, সমুদ্র অর্থনীতির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে এখনও এই সেক্টরে জনবলের অভাব রয়েছে। দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে এই খাতে জনবল বৃদ্ধির করতে হবে।

সমুদ্রসম্পদ রক্ষা করা আরেকটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন। এখন আমরা নিজেরাই নিজেদের সম্পদ রক্ষা করতে পারি।

জেপি/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।