মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বাড়া‌নো প্র‌য়োজন : অর্থমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৫:৪৩ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৭

দে‌শে এখনও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রসারিত হয়নি মন্তব্য ক‌রে‌ তা বাড়া‌নোর আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সোমবার রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেঘনা ব্যাং‌কের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘ট্যাপ অ্যান্ড পে’ উদ্বোধনকা‌লে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ১৩ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করলেও এখনও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রসারিত হয়নি। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মাত্র ২৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়।

তিনি বলেন, দেশে মোট ৫৬টি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি বেসরকারি ব্যাংক। আমা‌দের ব্যাংক থাক‌লেও শাখার তুলনামূলক কম। তাই আমাদের ব্যাংকিং সার্ভিস বৃদ্ধি করতে হবে। ব্যাংক সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের সম্পদকে ছড়িয়ে দিতে হবে।

বিশেষ অতিথি বক্ত‌ব্যে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ব‌লেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী রাষ্ট্র কর্তৃক দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক বা অন্য কোনো সহায়তা প্রদানে ৬৫ হাজার কো‌টি টাকা ব্যয় ক‌রে থা‌কে। যা আগামী‌তে এ অর্থ মোবাইল ব্যাং‌কিং‌য়ের মাধ্য‌মে দেয়ার প‌রিকল্পনা র‌য়ে‌ছে। শিগ‌গিরই এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর কা‌ছে দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে জানা‌নো হয়, মেঘনা ব্যাংকের এ মোবাইল সেবার মাধ্যমে কোনো শাখা ছাড়াই স্বল্পখরচে ব্যাংকিং সেবা পাবেন গ্রাহকরা। এর মাধ্যমে টাকা সঞ্চয়, টাকা আদান-প্রদান, মোবাইলে টাকা রিচার্জ, বিভিন্ন বিল পরিশোধ থেকে শুরু করে যেকোনো জায়গায় সহজে দৈনন্দিন কেনাকাটা করা যাবে।

মেঘনা ব্যাংকের ট্যাপ অ্যান্ড পে সেবা প্রি পেইড কার্ডসম্বলিত অত্যাধুনিক নিরাপদ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস। এটি বাংলাদেশের প্রথম চিপ বেইজড এনএফসি কার্ডসম্বলিত মোবাইল ব্যাংকিং যা গ্রাহকদের বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ এম আশিকুর রহমান, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমিন, মোবিলিটি আই ট্যাপ পে লিমিটেডের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন, পরিচালক কর্নেল এম এ লতিফ খান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কামরুল আহসানসহ ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।