৭ শতাংশ ভ্যাট করার প্রস্তাব ডিসিসিআইয়ের


প্রকাশিত: ০৫:৩৮ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৭

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন ভ্যাট এবং সাপ্লিমেন্টারি অ্যাক্ট ২০১২ আইনে সমন্বিত ১৫ শতাংশ ভ্যাটের পরিবর্তে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোর রাজস্ব কাঠামোর সঙ্গে মিল রেখে এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ উন্নয়নে যৌক্তিকভাবে হ্রাসকৃত হারে ভ্যাট আরোপের আহ্বান জানান।

সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় চেম্বারের সভাপতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত কর মুক্ত রাখা এবং ৫০ লাখ হতে এক কোটি ২০ লাখ পর্যন্ত ৩ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করেন।

তিনি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মহিলা এবং ৬৫ বৎসর ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী নাগরিকদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ ৫০ হাজার এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেন।

তিনি শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমকে করের আওতার বাইরে রাখার প্রস্তাব করেন। এছাড়াও ব্রোকারজ কোম্পানির কর্পোরেট করের হার ৩৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৩০ শতাংশ করা এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের ক্ষেত্রে কর্পোরেট করের হার ৩৭.৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৩৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন।

ডিসিসিআই সভাপতি বেসরকারিখাতের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে কোম্পানির মুনাফা পুনঃবিনিয়োগকে কর রেওয়াত দেয়ার আহবান জানান। তিনি ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনকারী ব্যবসায়ীদের সরকারি খরচে ইসিআর মেশিন প্রদান এবং ভ্যাট স্মার্টকার্ড প্রবর্তনের প্রস্তাব করেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হোসেন এ সিকদার, পরিচালক আসিফ এ চৌধুরী, ইঞ্জি. আকবর হাকিম, ইমরান আহমেদ প্রমুখ।

এমইউএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।