করমুক্ত সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব


প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, ০৮ মার্চ ২০১৭

ব্যক্তিগত আয়ের করমুক্ত সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আগামী অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনটি এই প্রস্তাব দেয়।

এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে বুধবার অনুষ্ঠিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রাক-বাজেট সভা শুরু হয়েছে। বিসিআইয়ের প্রস্তাবনা দিয়েই এ বছর প্রাক-বাজেট আলোচনা শুরু করলো এনবিআর।

সভায় বিসিআইয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয় যে, ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা করা উচিত। যা বর্তমানে আড়াই লাখ টাকা।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, মহিলা করদাতা ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের সংশ্লিষ্ট সব করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যা বর্তমানে রয়েছে ৩ লাখ টাকা। প্রতিবন্ধী করদাতার করমুক্ত সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছে বিসিআই।

একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা করদাতার করমুক্ত সীমা ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শুল্কনীতির সদস্য ফরিদ উদ্দীন, মূসকনীতির সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, আয়করনীতির সদস্য পারভেজ ইকবালসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিসিআই সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুর সভাপতিত্বে সংগঠনের পরিচালকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতি বছর বাজেট বাড়ানো হয়। অর্থমন্ত্রী ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে বাজেটের আকার ৫ লাখ কোটি টাকা করতে চান। যা আমাদের আতঙ্কিত করে।

তারা বলেন, বাজেটের আকার বাড়লে আমাদের উপর চাপ বাড়ে। যারা কর দিচ্ছেন তাদের উপর চাপ না বাড়িয়ে এর আওতা বাড়ানো উচিত। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সক্ষম ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান করের আওতায় আনা উচিত। এ প্রসঙ্গে নজিবুর রহমান বলেন, সংগঠনগুলোর প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে। কর আওতা বাড়াতে কাজ চলছে। এখন আমরা বেশ এগিয়ে গেছি।

এমএ/এমএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।