লেনদেনে চাঙ্গাভাব পুঁজিবাজারে
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত এক সপ্তাহে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। তবে কমেছে সব ধরনের সূচক ও বাজার মূলধন।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্র।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬০৬ কোটি টাকা বা ৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ। কমেছে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৭ পয়েন্ট। এ সময় বাজার মূলধন কমেছে শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭৯৫ কোটি ৬ লাখ ৪৫ হাজার ২৩৮ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৮৮ কোটি ৯২ লাখ ১১ হাজার ৩০৯ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৬০৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯২৯ টাকা বা ৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৮২ শতাংশ কমে অবস্থান করছে চার হাজার ৪৭২ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৩ শতাংশ কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭০৩ পয়েন্টে। আর শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক ৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৩ শতাংশ কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৮ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর কমেছে। ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৯টির, কমেছে ১৯২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির। আর লেনদেন হয়নি ৩টি কোম্পানির শেয়ার।
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে দশমিক ৩৩ শতাংশ। আর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৩ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে ১৬ দশমিক ২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে শূন্য দশমিক শূন্য ৮৪ শতাংশ। আর সিএসইএক্স সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ।
সপ্তাহে সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০১টির, কমেছে ১৫৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির।
টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৪৪ কোটি ৭৭ লাখ ১১ হাজার ৪৬ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১২৯ কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজার ৯৩ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেল বেড়েছে ১৫ কোটি টাকা।
এসআই/একে/পিআর