প্রবৃদ্ধি অর্জনে বড় চ্যালেঞ্জ খেলাপি ঋণ : গভর্নর


প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ শ্রেণিকৃত ঋণ কমিয়ে আনা। শ্রেণিকৃত ঋণ কমিয়ে আনতে না পারলে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, দেশে ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ হারে শ্রেণিকৃত ঋণ রয়েছে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে এই পরিমাণ আরও অনেক বেশি।

ফজলে কবির বলেন, সরকার চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ৭ দশমিক ২ এবং আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৮ শতাংশ হারের যে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে তার বাস্তবায়ন করতে প্রচুর অর্থের দরকার। তাই শ্রেণিকৃত ঋণ কমিয়ে আনতে না পারলে ওই বিপুল অর্থের জোগান দেয়া সম্ভব না।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে গভর্নর বলেন, আমরা এ অবস্থার উন্নতির জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে একটি কমিটি করা হয়েছে। ব্যাংকিং চ্যালেনের বাইরে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহীত হয় সেই লক্ষে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ঠিক কী কারণে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিসার্চ দল একটি ডায়াগনস্টিক সার্ভ করছে। এছাড়া খুব শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এবং মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে দুইটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে বলে জানান গভর্নর।

কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমির প্রিন্সিপাল কে এম জামশেদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজি হাসান, এস কে সুর চৌধুরী, এস এম মনিরুজ্জামান, ইআরএফ এর সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিনিয়র অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।

এসআই/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।