লাগামহীন অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ


প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ। সেই সঙ্গে বাড়ছে লোকসানি শাখার সংখ্যা। গত এক বছরে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা এবং লোকসানে পতিত হয়েছে ৭৮টি শাখা।

শনিবার রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে অগ্রণী ব্যাংকের অঞ্চল ও কর্পোরেট শাখাপ্রধান সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ব্যাংকটি ৫৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে। কিন্তু ঋণ বিতরণ করেছে ২৬ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। সংগৃহীত আমানতের অর্ধেকের বেশি অলস পড়ে আছে। বিতরণ করা ঋণের ২২ শতাংশই খেলাপি হয়ে গেছে। মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা।

২০১৫ সালে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা, যা ওই সময়ে বিতরণ করা ঋণের ১৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ বাড়লেও এর থেকে আদায় বাড়েনি। গত বছর আদায় হয়েছে মাত্র ৯৫৩ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণে ৭৮টি শাখা লোকসানে রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে অগ্রণী ব্যাংকের আগের খেলাপি ঋণ আদায় ও নতুন করে যেন খেলাপি না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকার তাগিদ দেন গভর্নর।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুল হক, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক ড. নির্মল চন্দ্র ভক্ত।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ শামস-উল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ব্যাংকটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অঞ্চলপ্রধান ও কর্পোরেট শাখাপ্রধানসহ নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।