সাইবার নিরাপত্তায় স্পর্শকাতর সরকারি ২১ প্রতিষ্ঠান


প্রকাশিত: ০৭:৫৮ এএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ (বিএসইসি) সরকারের ২১টি প্রতিষ্ঠানকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

রোববার এনবিআর কার্যলয়ে ‘ডিজিটাল এনবিআরে সাইবার নিরাপত্তা কার্যক্রম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিষয়টিজানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিটি খাতে ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করছি সরকারের যে ক্রিটিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার (স্পর্শকাতর অবকাঠাতো) রয়েছে সেগুলোকে আগে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সরকারের ২১টি প্রতিষ্ঠানকে ক্রিটিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমাদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে সাইবার অ্যাটাকের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ডাটা (তথ্য) চুরি করে বড় ধরনের অপরাধ ঘটানো সম্ভব।

তিনি বলেন, সাইবার অ্যাটাকের ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে গেছে। এই অ্যাটাকা ছিল আমাদের প্রচলিত ধারণা থেকে একদম ব্যতিক্রম। সুইফটস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এই অ্যাটাক করা হয়। ভবিষ্যতে আমাদের কী কী ধরনের অ্যাটাক আসতে পারে সেটি আমাদের চিন্তা করতে হবে। যেটি হয়তো এই মূহুর্তের জন্য প্রযোজ্য না।  কিন্তু সে ধরনের আক্রমণের শিকারও আমরা হতে পারি।

‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের বেশকিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অনেকগুলো ব্যাংকিং সেক্টরে বেশকিছু সাইবার অ্যাটাকের (আক্রম) শিকার আমাদের হতে হয়েছে। যেখানে আমাদের মারাত্মক ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে। তাই ইনফরমেশন সিকউরিটি (তথ্য নিরাপত্তা)-কে আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি’-বলেন পলক।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা তিনটি সংস্থার সাইবার নিরাপত্তা শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলো হলো বাংলাদেশ সিকউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি- সেখানে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। পৃথিবীর আর কোনো রাজস্ব বোর্ড এতো দ্রুত ডিজিটালাইজেশন করতে পেরেছে কি না আমার জানা নেই।

‘এনবিআর খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। যেখানে সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন। এখান থেকে হয়তো টাকা চুরি করা সম্ভব না। কিন্তু সাইবার আক্রমণ করে তথ্য চুরির মাধ্যমে বড় ধরনের অপরাধ করা সম্ভব। এনবিআরের কাছে যে তথ্যগুলো থাকে তা খুবই সেনসেটিভ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা না হলে যে কেউ সাইবার অ্যাটাক করে এই তথ্যগুলো চুরি করে নিতে পারে’ বলেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

এ সময় এনবিআরের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি বছরে অন্তত্য দুইবার আইটি সিকিউরিটি অডিট করার পরামর্শ দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। সেইসঙ্গে সফটওয়্যারের আপডেট ভারসন নেয়াও জরুরি বলে পরামর্শ দেন তিনি।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিসিসি সভাপতি মোস্তফা জব্বারসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমএএস/জেডএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।