২০২০ সালের মধ্যে পুঁজি বাজারে নতুন দিগন্ত : অর্থমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৮:৫৮ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৭
ফাইল ছবি

২০২০ সালের মধ্যেই দেশের পুঁজিবাজারে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
 
রোববার ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে মাইডাস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের (মার্চেন্ট ব্যাংকিং) উদ্বোধনকালে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
 
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ২০ বছরে আমাদের দেশে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে হয়নি। এ রকম রেকর্ড খুব কম দেশেরই আছে। আমার বিশ্বাস, যেভাবে চলছি আরও কিছু পরিবর্তন করা গেলে চলতি দশকেই মানে ২০২০ সালের মধ্যেই আমাদের অনেকগুলো নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
 
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এ দশকেই আমাদের এখানে একটা শক্তিশালী পুঁজিবাজার সৃষ্টি হবে। ২০২০ সালের এখনও তিন বছর বাকি। এই সময়ের মধ্যেই এটা হবে বলে আমার বিশ্বাস।
 
অর্থমন্ত্রী জানান, আশির দশকে এনজিও হিসেবে যাত্রা শুরু করা মাইডাস চলতো বিদেশি সহযোগিতার টাকায়। এক সময় এ প্রতিষ্ঠান নিজের টাকায়ই চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির সেই সময়কার কর্ণধাররা।

প্রতিষ্ঠানটি এখন কারও সহযোগিতা নেয় না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিজের টাকায় চলার ঘোষণা অনেকেই দেয়, তবে তা বাস্তবায়ন করা বেশ কঠিন। মাইডাস সেটা পেরেছে।
 
মাইডাস এনজিওর পথ ধরে নব্বইয়ের দশকে আসে মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড। যে প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে মাইডাস ইনভেস্টমেন্ট যাত্রা শুরু করলো। ফাইন্যান্সিংয়ের চেয়ারম্যান রোকেয়া আফজাল রহমানই নতুন এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।
 
নতুন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের অধিকাংশ সদস্যও মূল প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদে রয়েছেন বলে জানান চেয়ারম্যান।
 
নতুন এই কোম্পানি মার্চেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পুঁজি বাজারে বিনিয়োগ ও ইস্যুয়ার কোম্পানিগুলোকে অ্যাডভাইজারি ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা করবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
 
নতুন এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান রোকেয়া আফজাল রহমান বলেন, আজ আমরা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছি।
 
তিনি বলেন, ১৯৮২ সালে উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ একদল মানুষ মাইডাস প্রতিষ্ঠা করেন। তখন স্যামসন চৌধুরী, আমিরুল ইসলাম প্রমুখ ছিলেন। মানুষের কল্যাণে কাজ করার উদ্দেশ্য সেই সময় থেকেই আমাদের ছিল।

দোকানদার থেকে শিল্পপতি, দোকানে বিক্রেতার চাকুরি করা নারী থেকে সফল উদ্যোক্তা-এ ধরণের বহু সফলতার গল্প রয়েছে বলে জানান তিনি।
 
আশির দশকে মাইডাস এসএমই ঋণ দেয়া শুরু করেছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, তখন বাংলাদেশে এ ধরণের ঋণ দেয়া হত না।
 
ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিক-উল-আজম বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুঁজিবাজারে মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের ভূমিকা খুবই সীমিত। এ কারণেই আমরা নতুন প্রতিষ্ঠান করেছি।
 
তিনি বলেন, আমরা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যাতে সর্বশান্ত না হন-সেই জন্য কাজ করবো। শেয়ারের বিপরীতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ঋণ দেবো।
 
ভবিষ্যতে ব্রোকার কোম্পানি ও অ্যাসেট ব্যবস্থাপনা কোম্পানি হিসাবে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
 
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, মাইডাস ইনভেস্টমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ সাইদুর রহমান।

এমইউএইচ/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।