নিজে ফেঁসে অন্যদের সতর্ক করল এসআইবিএল


প্রকাশিত: ০২:০৭ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৫

ব্যাংক পরিচালনায় অদক্ষতার পরিচয় দিয়ে এবার অন্যদের সতর্ক করতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করছে বেসরকারি খাতের সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল)। যদিও ব্যাংকিং খাতের ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির এটিই প্রথম।

জানা গেছে, ঋণ খেলাপিদের তালিকা সম্বলিত একটি চিঠি তৈরি করে দেশের অন্য সব বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে এসআইবিএল। চিঠিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বগুড়ার ৫০ জনের বেশি ঋণ খেলাপীর তালিকা রয়েছে।

চিঠির একটি অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছেও পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে বিষয়টি জানতে কয়েক দফা ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল হকের মোবাইলে ফোন করলেও পাওয়া যায়নি।

গভর্নরের কাছে দেওয়া চিঠির অনুলিপিতে বলা হয়েছে, এসব গ্রাহকের কাছে ১১৩ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে এসআইবিএল। যা আদায় হবে বলে ব্যাংক আর মনে করে না।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ঋণ খেলাপিদের ৩৫ জন চট্টগ্রামের। ব্যাংকের তরফ থেকে টাকা আদায়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য আইনি পদক্ষেপও নিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তাই আপনাদের অনুরোধ করবো যে, এসব গ্রাহককে কোনো ধরনের ঋণ সুবিধা না দিতে অথবা কারোর কোন ঋণ থাকলে তা আর না বাড়াতে।

এই খেলাপি গ্রাহকদের মধ্যে ফিরোজ কনস্ট্রাকশনের ৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, মাসফা এন্টারপ্রাইজের খেলাপি ঋণ ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা, রিমা ফ্লাওয়ার্স মিলসের কাছে ৬ কোটি ৬ লাখ টাকা, রুমা ট্রেডার্সের ২ কোটি ৮১ লাখ টাকা, চট্টগ্রামের এসবি কর্পোরেশনের এক কোটি ২৩ লাখ, এ মান্নান অ্যান্ড সন্সের এক কোটি ৩ লাখ, অতিথি ফিলিং স্টেশনের  ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা, জাহাদ কনস্ট্রাকশনের ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা, গুঞ্জন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের কাছে ৪ কোটি ১২ লাখ টাকা উল্লেখ যোগ্য। সাধারণত, অনাদায়যোগ্য ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংককে মুনাফা থেকে ১০০ ভাগ প্রভিশন রাখা বাধ্যতামূলক।

এসএ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।