দেড় কোটি কৃষককে সেবা দিচ্ছে এসিআই
কৃষি ব্যবসা ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে ২০১৬ সালে দেশের প্রায় দেড় কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে গেছে এসিআই লিমিটেড। কোম্পানির এগ্রিবিজনেস শাখার ক্রপ কেয়ার, অ্যানিমেল হেলথ, ফার্টিলাইজার, ক্রপেক্স, সিডস, কৃষিপ্রযুক্তির মাধ্যমে চলতি বছরে প্রায় দুই কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছাতে চায়। গত বছরে কোম্পানির বার্ষিক আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ শতাংশ।
শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘বাৎসরিক সম্মেলন ২০১৭‘’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন এসিআই লিমিটেডের (এগ্রিবিজনেস) নির্বাহী পরিচালক ড. ফা হ আনসারী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা।
ড. ফা হ আনসারী বলেন, দেশে এখন দুধ ও মাংসের ঘাটতি রয়েছে। অন্যদিকে মাটির ঊর্বরা শক্তি কমে গিয়ে ফসলের উৎপাদনশীলতা কমে আসছে। এ অবস্থায় কৃষি ও কৃষকের জীবন পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্পদশালী করতে করণীয় সব বিষয়কে বাস্তবায়ন করা হবে। এর জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তর থেকে শুরু করে উন্নত বীজ, সার এবং উপকরণ সহায়তা দ্রুত কৃষকের কাছে পৌঁছাতে কাজ করতে হবে। সরকারি সহায়তা ও নীতি-নির্দেশনা অনুসারে ব্যবসায়িক পরিকল্পপনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, এদেশের অর্ধেক লোক কৃষিতে কাজ করে আর ৭০ ভাগ জমি কৃষিতে ব্যবহার হয়। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এসিআই এগ্রিবিজনেস বাংলাদেশের এনিমেল হেলথ দুই লাখ ৪০ হাজার খামারের মধ্যে এক লাখ ৯৪ হাজার প্রায় ৮১ শতাংশ কৃষকের কাছে পৌঁছে গেছে। এছাড়া এসিআই মটরসের কৃষিপ্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে এক কোটি ৭০ লাখ কৃষকের মধ্যে ৫০ লাখ কৃষকের কাছে, সারের মাধ্যমে ৩২ লাখ, বীজের মাধ্যমে ৪০ লাখ কৃষকের কাছে পৌঁছে গেছে। অন্যান্য চলমান শাখা ছাড়াও নতুন ব্যবসায়িক শাখার মাধ্যমে চলতি বছরে দুই কোটি কৃষকের সেবা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কোম্পানিটি।
“ট্রান্সফারমারস” শিরোনামে উদ্বুদ্ধ হয়ে সম্মেলনে মাঠ পর্যায়ের দেড় শতাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এসিআই মটরসের চিফ বিজনেস অফিসার সুব্রত রঞ্জন দাস, প্রিমিয়াফ্লেক্সের বিসনেস ডিরেক্টর আনিসুর রহমান, এসিআই এগ্রোলিঙ্কের চিফ স্ট্রাটেজিক অফিসার এম সাইফুল্লাহ।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে আসিআই লিমিটেড স্থানীয় ব্যবস্থাপনার কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে অ্যাডভানসড কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ (এসিআই) লিমিটেড নামকরণ নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। তৎকালীন আইসিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আনিস-উদ-দৌলা কোম্পানিটির মালিকানা ক্রয় করেন।
এমএ/বিএ/আরআইপি