মেলায় স্বল্পমূল্যে খাবার দিচ্ছে ‘মিঠাই’


প্রকাশিত: ০৫:৩১ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৭

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মাসব্যাপী ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীদের সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছে দেশের বৃহৎ শিল্প পরিবার প্রাণ গ্রুপের ‘মিঠাই’। মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে সাশ্রয়ী মূল্যে হইচই অফারে খাবার দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

মেলায় ‘মিঠাই’এর বিক্রয় ব্যবস্থাপক পলাশ সমাদ্দার জাগো নিউজকে বলেন, স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে এবারই প্রথম আমরা মেলায় এসেছি। মেলায় অংশগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য পণ্যের প্রচার করা। আমরা যে ঐতিহ্যবাহী গুণগত মানসম্পূর্ণ মিষ্টি ও খাদ্যপণ্য তৈরি করছি তা দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরছি। প্রথমবারের মতো ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভালোই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মিস্টি, ডেজার্ড, কেক, স্পাইসি ও ফ্রাইডসহ মিঠাই এর প্রায় ২৫০টি মিষ্টি ও খাদ্যপণ্য রয়েছে।

তিনি বলেন, মেলা উপলক্ষে ক্রেতাদের জন্য সাতটি অফার ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে হইচই অফারটি ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। অফারটিতে রয়েছে একটি বার্গার, কালোজাম মিষ্টি ও প্রাণ আপ। মেলা উপলক্ষে অফারটি মাত্র ৬০ টাকায় দেয়া হচ্ছে। স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবার পেয়ে ক্রেতা-দশনার্থীরা আমাদের স্টলে ভিড় করছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

‘মিঠাই’এর অন্যান্য অফারের মধ্যে রয়েছে- ১০টি সনপাপড়ির সঙ্গে একটি বক্সসহ মেহমানদারি অফার। যার মূল্য ১০০ টাকা। পাঁচটি রসগোল্লাসহ একটি বক্স স্পেশাল রসগোল্লা অফারের মূল্য ১০০ টাকা। একটি বক্সসহ আড়াইশ গ্রামের রসমালাইয়ের মূল্য ১০০ টাকা। একটি করে সিঙ্গারা, সমুচা ও কালোজাম দিয়ে আনন্দ ৩০ টাকায় দিচ্ছে অফার। লাড্ডুর জাদুতে আছে ৫০ টাকয় চারটি লাড্ডু। দুই পিস করে সন্দেশ ও বরফিসহ ১০০ টাকায় দিচ্ছে সন্দেশের বাক্স।

মিঠাইয়ের স্টলে আসিফ নামে এক ক্রেতা জানান, মেলায় আমাদের স্টল আছে। সেখানে কর্মীদের বিকেলের নাস্তা হিসেবে মিঠাইয়ের হইচই অফারটি দেবো তাই কথা বলতে এসেছি। মেলায় অনেক খাবারের দোকান রয়েছে যেখানে খাবার কিনলে অতিরিক্ত টাকা নেয়। স্বল্পমূল্যে তুলনামূলক ভালোই খাবার দিচ্ছে মিঠাই। তাই আমাদের কর্মীদের জন্য এখন থেকে খাবার নেবো।

উল্লেখ্য, ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৩ লাখ ৭৩ হাজার বর্গফুট আয়তনের এবারের মেলাস্থল। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় প্রবেশমূল্য ধরা হয়েছে (পূর্ববর্তী তিন বছরের মতো) প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জনপ্রতি ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য জনপ্রতি ২০ টাকা।

এবার বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল-প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৮০টি। মেলা মাঠে একটি ই-শপ, দুটি শিশুপার্ক, তিনটি রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্র, তিনটি মা ও শিশু কেন্দ্র এবং একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাঠের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন স্পটে বাগান তৈরি করা হয়েছে।

মেলা প্রাঙ্গণে মুসল্লিদের নামাজ পড়ার জন্য একটি মসজিদ এবং আনসার ও বেসরকারি সিকিউরিটি ফোর্স সদস্যদের জন্য দুটি ডরমিটরি স্থাপন করা হয়েছে।

এসআই/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।