চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা


প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০১৭

রফতানি পণ্যের বাজার বহুমুখী করার উপর গুরুত্বারোপ করে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে ২০১৭ সালের জন্য ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার মাসব্যাপী ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উদীয়মান চামড়া শিল্পখাতের অন্তর্নিহিত সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উদ্দেশে আমি আগামী ২০১৭ সালের জন্য চামড়া ও পাদুকাসহ চামড়াজাত পণ্যকে জাতীয়ভাবে বার্ষিক পণ্য বা প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার হিসেবে ঘোষণা করছি।’

তিনি বলেন, বিগত সাড়ে চার দশকে চামড়া খাতে রফতানি প্রায় ৭১ গুণ বেড়েছে। প্রথম সারির বৈশ্বিক পণ্যগুলোর চামড়াজাত পণ্য এখন বাংলাদেশেই প্রস্তুত হয়। এ পণ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য-সংযোজন সম্ভব হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশ্বের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাব, সেই চিন্তা-চেতনা নিয়েই কিন্তু আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছি। অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করার জন্য বেসরকারি খাতকে আমরা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। বেসরকারি খাতের যেন পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে সে জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন- বিদ্যুৎ উৎপাদনকেও আমরা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের আগে কেবল সরকারি খাতেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। যার পরিমাণ মাত্র ১৫০০ থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট। প্রধানমন্ত্রী হয়ে আমি আইন পাশ করলাম। বেসরকারি খাতকে আমরা উন্মুক্ত করে দিলাম। প্রতিটি ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও সুযোগ সৃষ্টি করে দিলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি খাতের পাশাপাশি যখন বেসরকারি খাত সুযোগ পেল স্বভাবিকভাবে আজকে আমাদের অর্থনীতির মূল শক্তি হিসেবে বিকষিত হয়েছে বেসরকারি খাত।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ২০১৩-১৪ সালের দেশের সর্বোচ্চ রফতানি আয়কারি ৬৬টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রফতানি ট্রফি ও সনদ বিতরণ করেন।

এমএ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।