পুঁজিবাজারে বৈদেশিক লেনদেনে মাইলফলক


প্রকাশিত: ০৩:৪৪ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। ২০১৬ সালে দেশের পুঁজিবাজারে বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। চলতি বছরে ডিএসইতে বৈদেশিক লেনদেন ছাড়িয়েছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। নিট বিনিয়োগও ছাড়িয়েছে হাজার কোটি টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৭৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা৷ এর মধ্যে ক্রয়কৃত সিকিউরিটিজের পরিমাণ ৫ হাজার ৫৭ কোটি টাকা এবং বিক্রয় সিকিউরিটিজের পরিমাণ ৩ হাজার ৭১৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা৷ সেই হিসেবে নিট বিনিয়োগ হয়েছে এক হাজার ৩৪০ কোটি ৭০ কোটি টাকা।

এক বছরে ব্যবধানে (২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে বৈদেশিক লেনদেন বেড়েছে এক হাজার ৩০৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। নিট বিনিয়োগ বেড়েছে ৯৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এদিকে ২০১৫ সালে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মোট লেনদেন হয়েছে ৭ হাজার ৪৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা৷ এর মধ্যে ক্রয়কৃত সিকিউরিটিজের পরিমাণ ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং বিক্রয়কৃত সিকিউরিটিজের পরিমাণ ৩ হাজার ৪৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা৷ অর্থাৎ পুঁজিবাজারে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৩৮৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
 
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের লেনদেন বাড়াকে ইতিবাচক মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। দীর্ঘদিনের আস্থাহীনতার বাজারে এখন সুবাতাস বইছে। যার কারণে দেশি বিনিযোগকারীর পাশাপাশি বাজারমুখী হচ্ছেন বিদেশিরা।

পুঁজিবাজারের বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্রয় প্রবণতা লক্ষণীয় যা বাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের সংকেত প্রদান করে৷

পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজার পর্যবেক্ষণ করেন এবং মার্কেটে শেয়ারের দাম কম থাকলে তারা বিনিয়োগ করেন। পুঁজিবাজারে অনেক ভালো শেয়ারের এখন দাম কম রয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হচ্ছেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হওয়া মানে সামনে বাজার আরও ভালো হবে।

এসআই/জেএইচ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।