পেট্রোবাংলা ও বিপিসির বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে এনবিআর


প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬

সরকারি প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াাম কর্পোরেশনের (বিপিসি) নিকট বকেয়া রাজস্ব আদায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মঙ্গলবার রাজস্ব সংগ্রহ সংক্রান্ত অগ্রগতি ও পর্যালোচনা বিষয়ক মাসিক রাজস্ব সম্মেলন এ কথা জানান এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

এ সময় কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়াসহ কর অনিয়মে জড়িত সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেন তিনি।

এনবিআর জানায়, দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের পাওনা ৩২ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকার মধ্যে পেট্রোবাংলার আওতাধীন চারটি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কাছে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ এবিআরের পাওনা ৩০ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা ও বিপিসির কাছে ভ্যাট বাবদ পাওনা ২ হাজার ১৮ কোটি টাকা।

পেট্রোবাংলা ও বিপিসির কাছে বকেয়া রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করা হয়। আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি (আইওসি) উৎপাদিত গ্যাস বিতরণের বিপরীতে পেট্রোবাংলার আওতাধীন চারটি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কাছে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ৩০ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা পাওনা হয়েছে।

চারটি গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান হলো- তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

চারটি প্রতিষ্ঠানের নিকট সুদ ছাড়া জুলাই, ২০০৯ হতে মার্চ, ২০১৪ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ও এপ্রিল, ২০০৯ হতে ডিসেম্বর ২০১৪ ও জানুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৬৩ কোটি ৪ লাখ টাকাসহ সর্বমোট রাজস্ব ১৫ হাজার ৬৯৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

সুদসহ ২২ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের ২০ মে থেকে ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেট্রোবাংলাকে বকেয়া পরিশোধে ৭টি দাবিনামা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ), মূল্য সংযোজন কর। এছাড়া ফেব্রুয়ারি ২০১৫ থেকে নভেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত চারটি কোম্পানির কাছে সুদ ছাড়া ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। জুলাই, ২০০৯ থেকে নভেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত মোট বকেয়া পাওনা ৩০ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা।

রাজস্ব সম্মেলনে কর বিভাগের আওতাধীন সার্কেলভিত্তিক ৫০ জন করদাতার বিগত ৩ বছরের কর প্রদানের প্রবৃদ্ধি পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) ও মিউনিসিপাল ডিজিটাল সেন্টারের (এমডিসি) উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের হালনাগাদ তথ্যাদি ও কর অঞ্চলে অডিট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেলের কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

সম্মেলনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর বিভাগের সদস্যসহ এবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ের আয়কর বিভাগের সংশ্লিষ্ট কমিশনারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় এনফোর্সমেন্ট মাস উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয় এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের রাজস্ব সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কর্মকৌশল এবং নভেম্বর ২০১৬ মাস পর্যন্ত সময়ের রাজস্ব সংগ্রহ সংক্রান্ত অগ্রগতি ও পর্যালোচনা করা হয়।

এসআই/বিএ/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।