সহজ শর্তে ঋণের সুবিধা না থাকায় দারিদ্র্যের কবলে আদিবাসীরা


প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

ক্ষুদ্র ঋণের সুবিধা নিয়ে অনেক দরিদ্র জনগোষ্ঠী আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হলেও আদিবাসী ও দলিত জনগোষ্ঠী সে সুবিধা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। বিশেষত তাদের জন্য সহজ শর্তে উপযুক্ত ঋণের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই এখনো দারিদ্র্যের কবল থেকে মুক্ত হতে পারছে না। তাই আদিবাসীদের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে ভূমি সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়টি সমাধানের পাশাপাশি সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বাজার ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

সোমবার রাজধানীর স্কেট্রা কনভেনশন সেন্ট্রারে আয়োজিত ‘বাজারে প্রবেশগম্যতা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সামাজিক অন্তর্ভুক্তির প্রকল্প’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশ এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আমিনুল হক।

প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা হেকস/ইপিইআর-বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর অনিক আসাদ, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশ-এর খাদ্য, কৃষিবিপণন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচির প্রধান আব্দুর রব, হেকস-এর মার্কেট ডেভলপমেন্ট স্পেশালিস্ট নুরুন্নাহার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশ-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মির্জা খলিল জিবরান।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, দলিত জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলো হলো- সহজ শর্তে ঋণের সুিবধা না থাকা, তাদের প্রচলিত পেশা ছেড়ে চাকুরি বা ব্যবসা না করার মনোভাব, অনুদানভিত্তিক সহায়তার কারণে ক্ষুদ্র ঋণে আগ্রহ না থাকা ইত্যাদি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো. আমিনুল হক বলেন, আদিবাসীদের অর্থনৈতিক পরিবর্তন না হলে সামগ্রিক পরিবর্তনও আসবে না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার তাদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে বর্তমানে অদিবাসী ও দলিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা আড়াই মিলিয়ন (২৫ লাখ) যা মোট জনগোষ্ঠীর ১.৭ শতাংশ। আদিবাসী ও দলিত জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি বা মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের কারিগরি সহযোগিতা ও হেকস সুইজারল্যান্ডের আর্থিক সহায়তায় ‘একসেস টু মার্কেট অ্যান্ড সোশাল ইক্লুশান অব মাইনোরিটিজ’ নামে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। ২৮৯৪ আদিবাসী ও দলিত মানুষের মাঝে ঋণ বিতরণের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, নিলফামারী ও ঠাকুরগাঁও জেলায়।

এমএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।