চিংড়ি রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন সার্টিফিকেশন


প্রকাশিত: ০১:৩৭ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬

চিংড়ি রফতানিতে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে হলে ভলেনটারি সার্টিফিকেশন দরকার। বিদেশি ক্রেতারা চিংড়ি আমদানি করার আগে এই সার্টিফিকেশন দেখতে চান। চিংড়ি বাজারজাতকরণে সার্টিফিকেশন প্রবর্তন পুরো শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মৎস্য ভবনে বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশন (বিএসএফএফ) ও সলিডারিডেড নেটওয়ার্ক এশিয়া আয়োজিত এক কর্মশালায় এমন বক্তব্য উঠে আসে। কর্মশালার শিরোনাম ছিল ভলেনটারি সার্টিফিকেশন ফর পজিশনিং গলদা অ্যান্ড বাগদা এস দ্য প্রিমিয়াম ব্যান্ডস ইন দ্য ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট।

কর্মশালায় গলদা ও বাগদা চিংড়িকে প্রধান রফতানি পণ্যে পরিণত করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে চিংড়ি শিল্পের রফতানি বাড়ানোর জন্য এর উৎপাদনের ওপর জোর দেয়ার কথা হয়। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রেতা টানতে এর গুণগত মানের ওপরও সমানভাবে জোর দিতে পরামর্শ দেয়া হয়।

বক্তারা বলেন, চিংড়ি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক সার্টিফিকেশনের প্রয়োজন। এর মাধ্যমে ক্রেতা পণ্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। কিন্তু সবার আগে দরকার এর বাস্তব প্রয়োগ। শুধু সার্টিফিকেট নিয়ে বসে থাকলে চলবে না।

তারা বলেন, সনদ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশি রফতানিকারকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং চিংড়ি পণ্য আমদানিতে দীর্ঘমেয়াদে সুফল বয়ে নিয়ে আসবে।

কর্মশালায় বাংলাদেশ চিংড়ি শিল্পের বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ওয়ার্কিং কমিটি ফর সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ শ্রিম্প সেক্টর এর চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফকির ফিরোজ আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) সৈয়দ আরিফ আজাদ। বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

এমএ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।