নদীর নাব্যতা রক্ষায় ২৮৮০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক


প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

বাংলাদেশের নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন ও নিরাপদ নৌ চলাচল সচল রাখতে ২৮৮০ কোটি টাকা দিচ্ছে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক। বুধবার বিশ্বব্যাংকের   সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সদস্য মেজবাহ উদ্দিন, আর বিশ্বব্যাংকের পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিও ফান চুক্তিতে সই করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংক ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত জুন মাসে সংস্থাটির বোর্ড সভায় এ অর্থ সহায়তার অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় ৩৬ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ ও অনুদানের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রতি ডলার ৮০ টাকা হিসেবে দাঁড়ায় ২৮৮০ কোটি টাকা।

জলপথের নাব্যতা উন্নয়নের জন্য ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক জলপথ পরিবহন প্রকল্প-১’ বাস্তবায়নে এ অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নদীপথের প্রায় ৯০০ কিলোমিটার করিডোর এবং সংযোগপথের নাব্যতা উন্নয়ন করা হবে। ফলে জাতীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্যে পরিবহনের সময় ও ব্যয় কমবে বলে আশা করছে বিশ্বব্যাংক।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে পানগাঁওয়ে একটি নতুন সাধারণ কার্গো টার্মিনাল করা হবে। এ ছাড়া, সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর ও বরিশাল যাত্রী টার্মিনাল সংস্কার এবং ১৪টি ঘাটের সংস্কার ও উন্নয়ন করা হবে।

মেজবাহ উদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাংক সব সময় বাংলাদেশের পাশ ছিল। উন্নয়নে তাদের অংশ ক্রমেই বাড়ছে। এটি ভিবষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়াও ফান বলেন, বাংলাদেশ সড়ক-রেল-নদীপথের সংযোগের মাধ্যমে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে পারে। বাংলাদেশের বিশাল নদীপথ আছে। এটা শক্তিশালী করা হলে এ দেশের অর্থনীতিকে রফতানিমুখী করতে আরো সহায়তা করবে।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা (আইডিএ) থেকে এই অর্থ ঋণ ও অনুদান আকারে দেয়া হচ্ছে। শূন্য ও কম সুদে দেয়া এই ঋণের অর্থ ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এতে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।

এমএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।