প্লাস্টিক শিল্পনগরী দ্রুত স্থাপন করার আহ্বান


প্রকাশিত: ০৫:৩৩ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬

প্লাস্টিক শিল্পনগরী দ্রুত স্থাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, পুরনো ঢাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইন্ডাস্ট্রি প্লাস্টিক শিল্পনগরীতে স্থানান্তর করা গেলে তা অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকলে প্লাস্টিক সেক্টর আগামীদিনে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও সরকারের অর্থানূকুল্যে প্লাস্টিক সেক্টরে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার লক্ষ্যে নবপ্রতিষ্ঠিত ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের আয়োজনে এক কোর্সের সমাপনী ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার বিপিজিএমইএ’র পল্টন অফিসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি, বিপিজিএমইএ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া। প্লাস্টিক সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে শিল্প মন্ত্রণালয় নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এ খাতে রফতানির বিশাল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতা করার জন্য মানসম্মত পণ্য তৈরির কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি কম্পায়েন্স ফ্যাক্টরি গড়ে তুলতে হবে।

মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, প্লাস্টিক সেক্টরের আগামী দিনের চাহিদা পূরণে দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে এটি ভূমিকা রাখবে। এ সেক্টরের উন্নয়নে যা যা করণীয় শিল্প মন্ত্রণালয় তা করবে।

মন্ত্রণালয় প্লাস্টিক শিল্পনগরী স্থাপনের বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিল্পনগরী হলে প্লাস্টিক খাতের ভূমিকা আরো ব্যাপক হবে। তিনি প্লাস্টিক শিল্পনগরী দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলেও আশ্বাস প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিপিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সামিম আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি কাজী আনোয়ারুল হক, মো. গোলাম কিবরিয়া, বিপিজিএমইএ সাবেক সভাপতি ইউসুফ আশরাফ প্রমুখ।

এমএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।