অত্যাধুনিক বে-টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে চট্টগ্রামে
বড় জাহাজ ভেড়ানোর লক্ষ্যে ৯`শ একর জমির ওপর অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নতুন আরও একটি টার্মিনাল নির্মাণ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। নিজস্ব অর্থায়নে পতেঙ্গা উপকূলে বে-টার্মিনাল নামে মিনি আকৃতির এ বন্দর গড়ে তোলা হবে।
এ টার্মিনাল নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়ার পাশাপাশি বড় জাহাজ অনায়াসে বাথিং করতে পারবে। এতে পণ্যের পরিবহন ব্যয় অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের প্রধান প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের প্রধান এ সমুদ্র বন্দর দিয়ে বর্তমানে বছরে ১৭ লাখ টিইইউএস`এর বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করা হয়। এর পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমাণ খোলা পণ্যও হ্যান্ডেলিং করে থাকে। প্রতি বছর বন্দরের কার্যক্রম গড়ে ১৫ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সামাল দিতে প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বন্দর সম্প্রসারণের।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, `পতেঙ্গা থেকে উত্তরে চমৎকার একটি দ্বীপের মতো তৈরি হয়েছে সেটা টার্মিনাল করার মতো জুতসই একটি যায়গা।`
শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ আকতার হোসেন বলেন, `পাঁচ-সাত বছর পরে দেখা যাবে এখানে সংকুলান হবে না। তখন অবশ্যই বে-টার্মিনালের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে।`
ইতোমধ্যে টার্মিনাল নির্মাণে জন্য অনুমোদনও দিয়েছে নৌ মন্ত্রণালয়। তবে খরচের পরিমাণ এখনো নির্ধারণ না হলেও শুরু হয়েছে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, `এখন আমরা এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট করছি। জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।`
বর্তমানে দেশে আমদানি করা পণ্যের বড় মাদার ভেসেলগুলো বন্দরের বহিঃনোঙরে অবস্থান করে। সেখান থেকে লাইটারেজ জাহাজে মাধ্যমে পণ্য খালাস করে তা বন্দরে বিভিন্ন জেটিতে নিয়ে আসা হয়। এতে পণ্যের পরিবহন ব্যয় কয়েক গুণ বেড়ে যায়। আর বে-টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে এসব বড় জাহাজগুলো সরাসরি এ টার্মিনালে আসতে পারবে।
এআরএস/এমএস