উৎপাদনশীল খাত অগ্রাধিকার পাচ্ছে : মিডল্যান্ড এমডি


প্রকাশিত: ০৮:১৭ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

দেশের অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধির স্বার্থে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড। একই সঙ্গে কৃষি, ক্ষুদ্র শিল্প, মাঝারি শিল্প, নারী উদ্যোক্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বিনিয়োগে অগ্রাধিকারের এসব খাতের কথা জানিয়েছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আহসান-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আলাপকালে এসব কথা বলছিলেন বিশিষ্ট এই ব্যাংকার।

আহসান-উজ-জামান বলেন, মিডল্যান্ড ব্যাংক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ব্যাংক মুনাফা করবে এটি যেমন ঠিক, আবার ব্যাংক জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এটি মাথায় রেখে মিডল্যান্ড ব্যাংক সরকারের নীতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনাকে পরিপালন করে ব্যাংকিং করে যাবে। আমরা বিনিয়োগে কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, নারী উদ্যোক্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, রপ্তানি খাত, তৈরি পোশাক খাতকে গুরুত্ব দিতে চাই। পাশাপাশি বৃহৎ বিনিয়োগকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে টিকে থাকার স্বার্থে।

খুব শিগগিরই কিছুটা বড় আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে প্রতিশ্রুতির এসব খাতের জন্য নতুন পণ্য উদ্বোধন করা হবে বলেও জানান এমডি।

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দেশের ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবায় নিয়ে আসতে চাই। নবীন ব্যাংক হিসাবে সেই চেষ্টা করছি আমরা। অগ্রগতি হচ্ছে। তবে আমরা অ্যাগ্রেসিভ ব্যাংকিং করবো না। আমরা টেকসই ব্যাংকিং ও স্থিতিশীল ব্যাংকিংকে গুরুত্ব দিয়ে বাজারে এগিয়ে যেতে চাই।

আমরা বোধ করি গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা দিতে, বলছিলেন আহসান-উজ-জামান।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আহসান-উজ-জামান, প্রতিষ্ঠার পর আমাদের ব্যাংকের আমানত ও ঋণ প্রায় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। শাখার সংখ্যা দাড়িয়েছে ১১টি। এ বছর আরও ৮ থেকে ৯টি নতুন শাখা খোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জাগোনিউজের এক প্রশ্নের জবাবে জানান।

আর সব শাখাগুলোও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে শহর ও গ্রাহক এক অনুপাত এক হারে খোলার হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা বুঝে শুনে চলতে চাই। যাতে শক্ত আর্থিক ভিতের ওপরে দাঁড়াতে পারি।  

এসএ/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।