প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদন ও রফতানিতে রোল মডেল প্রাণ


প্রকাশিত: ১১:৪৮ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৬

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও রফতানিতে রোল মডেল দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপ। বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এ কথা জানিয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সি বলেন, দেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও রফতানিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রাণ। প্রতিষ্ঠানটির অর্জন দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের অনুসরণীয় এবং অনুকরণীয়। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী এ অর্জন শুরু করেন। বর্তমানেও তা অব্যাহত রয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় এখন বিশ্বের প্রায় ১৭০-১৮০টি দেশে খাদ্যপণ্য রফতানি করছে প্রাণ।

বাপার নির্বাহী সদস্য নাজমুল হক নাজিম বলেন, বিদেশে সুপার স্টোরগুলোতে গেলে চোখে পড়ে প্রাণের পণ্য। দেখে গর্বে বুক ভরে যায়। প্রাণ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে আমরাও পারি।

pran

তিনি আরো বলেন, দেশের জন্মকথা যখন স্মরণ করি, তখন মনে পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আর দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত পণ্যের কথা স্মরণ করলে মনে পড়ে বাপার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর কথা।  

প্রাণের চিফ অফ এক্সপোর্ট মিজানুর রহমান বলেন, দেশের ১৭ কোটি জনবলকে কাজে লাগাতে হলে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য খাতকে এগিয়ে নিতে হবে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন করে প্রাণ দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান বাড়াতে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার বিকল্প নেই। দেশকে এগিয়ে নিতে প্রাণের মতো হাজারো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন।

গত বছর প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতা‌নি ক‌রে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আয় ক‌রে‌ বাপা। বর্তমান প্রবৃদ্ধি অনুযায়ী আগামী ৫ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা রফতানি হবে ব‌লে আশা প্রকাশ ক‌রেন এ খাতের স‌ংশ্লিষ্টরা।

তারা বলেন, বর্তমানে ১৪০টি দেশে খাদ্যপণ্য রফতানি হ‌চ্ছে। দেশের মোট রফতানিতে আমাদের অবদান ১ থেকে ২ শতাংশ। প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের রফতানি প্রবৃদ্ধি প্রতিবছর ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ বাড়ছে।

এসআই/জেএইচ/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।