ব্যাংক খাতে মূলধন পর্যাপ্ততা বেড়েছে
গত সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংক খাতে মূলধন ঘাটতি ছিলো ১ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। কিন্তু ডিসেম্বর প্রান্তিকে তা বেড়েছে। ব্যাংক খাতে ডিসেম্বর প্রান্তিকে মূলধন উদ্বৃত্ত দাড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, ব্যাংক খাতে মূলধন পর্যাপ্ততার হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যা সেপ্টেম্বরে ছিলো ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সে হিসেবে মূলধন পর্যাপ্ততা বেড়েছে দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতি বিরাজমান সত্ত্বেও বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের মূলধন ভিত্তি ক্রমশ সুদৃঢ় হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর মুনাফার একটা বড় অংশ মূলধনে স্থানান্তর, পুনঃমূলধনীকরণ ও প্রভিশন ঘাটতি হ্রাস পাওয়ার কারণে এটি ঘটেছে। ফলে ব্যাংকিং ব্যবস্থার ভিত্তি আরো শক্তিশালী হয়েছে।
জানা গেছে, ডিসেম্বর ২০১৪ প্রান্তিকে ব্যাংকিং খাতের সামগ্রিক মূলধন উদ্বৃত্ত রয়েছে ৪ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। জুন ও সেপ্টেম্বর ২০১৪ প্রান্তিকে ব্যাংকিং খাতের সামগ্রিক মূলধন ঘাটতি ছিল যথাক্রমে ৮৪৮ কোটি ও ১ হাজার ৯৬ কোটি টাকা।
ডিসেম্বর ২০১৪ এ ব্যাংকিং খাতে সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বর ২০১৪ প্রান্তিকে ছিল ৬৪ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর ২০১৪ এর তুলনায় ডিসেম্বর ২০১৪ এ ব্যাংকিং খাতের সংরক্ষিত মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৮২১ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ৫১ শতাংশ।
চলতি বছর থেকে ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়ন করার জন্যও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। ব্যাসেল-২ নীতিমালা মোতাবেক ব্যাংকগুলোকে তাদের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ৮ শতাংশ হারে মূলধনের সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাংলাদেশে ব্যাংকগুলোর জন্যে এ হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ শতাংশ।
বিশেষায়িত খাতের বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে হিসাবের বাইরে রাখলে মূলধন পর্যাপ্ততার হার দাঁড়াবে প্রায় ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।
এসএ/আরএস