বেড়েছে মাছ-মাংস আর সবজির দাম


প্রকাশিত: ০৬:১৯ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

২০ দলীয় জোটের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ আর গত তিন সপ্তাহ টানা হরতালের প্রভাবে রাজধানীর কাঁচাবাজারে বেড়েছে মাছ, মাংস আর সবজির দাম। রাজনৈতিক সহিংসতা আর টানা হরতাল-অবরোধে বাজারে সরবরাহ কম, অন্যদিকে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ার কারণ বলছেন ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার রাজধানীর শান্তিনগর, মুগদা ও রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ টাকা। সবজির দাম বেড়েছে দুই থেকে পাঁচ টাকা। বেড়েছে মাছের দামও। তবে কমেছে ভোজ্যতেলের দাম।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিভাগ সবজি দুই থেকে পাঁচ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। প্রতি কেজি সাদা আলু ১৪-১৫ ও লাল আলু ২০-২৪ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি আকারভেদে ১৫-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকা, শালগম ২৫-৩২ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, শিম প্রকারভেদে ৩২-৪০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, গাঁজর ২৫-৩০ টাকা, মূলা ১৫-২০ টাকা, শশা ৩০-৩৬ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, ঢেঁড়শ ৮০-১০০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, মটরশুটি ৪৫-৬০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালি ২০-৩০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি আঁটি লাউ শাক ১৫ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ১৫ টাকা ও ডাটা শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্যাপসিকাম আকারভেদে প্রতিটি ২০-৩৫ টাকা ও ব্রোকলি প্রতিটি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২-৩ টাকা বেড়ে ৪০-৪৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৬-৩৮ টাকা, দেশি রসুন কেজি প্রতি ৯৫ টাকা, মোটা রসুন ৮৫-৯০ টাকা ও এক দানা রসুন ১৬০ টাকা, আদা ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খুচরা মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই ৩৬০-৪০০ টাকা, কাতলা ৪০০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-২৫০, সিলভার কার্প ১৮০-২০০ টাকা, আইড় ৪৫০-৮০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০-১৪০০ টাকা, পুঁটি ১৮০-২০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ৩২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা, শিং ৬০০-৮০০, দেশি মাগুর ৬৫০-৭০০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস প্রতি কেজি ৩৪০-৩৫০ টাকা, খাসির মাংস ৫২০-৫৭০ টাকা, ব্রয়লার কেজি ১৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৩০-৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ৩০-৩২ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৫০ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪০-৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খোলাবাজারে কমেছে সয়াবিন তেলের দাম। লিটার প্রতি বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৪-১১০ টাকায়।

বিক্রেতারা প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছেন ৩৭-৩৮ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৫০-৫২ টাকা, পারিজা ৪২ টাকা, নাজিরশাইল ৫২-৫৮ টাকা ও বিআর আটাশ ৩৮-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সুগন্ধি চালের মধ্যে কাটারিভোগ ৭৫ টাকা, কালিজিরা প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে।

মুগদা বাজারের ক্রেতা আব্দুল মালেক জাগোনিউজকে বলেন, হরতাল-অবরোধে প্রতিদিনই পণ্যের দাম বাড়ছে। এখন সব ধরনের জিনিসপত্রে দাম চড়া। কিন্তু আমাদের আয় তো সীমিত। আমরা খুবই সমস্যায় আছি। মাসিক বাজারের যে বাজেট থাকে তা ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। বাকি দিন গুলো ধার করে চলতে হবে। আর রাজনৈতিকদলগুলোকে আমাদের সমস্যার কাথা বলে লাভ নেই। কারণ তারা ক্ষমতায় যওয়া আর টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত।

এসআই/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।