ট্যানারি স্থানান্তর না করলে কারখানা বন্ধ


প্রকাশিত: ০৪:৩৮ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

রাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারি কারখানা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাভারের স্থানান্তর না করলে সংশ্লিষ্ট কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। একই সঙ্গে সাভারের বিসিক চামড়া শিল্পনগরীর প্লট বরাদ্দ বাতিলের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।

দশম সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের উত্তরে শিল্পমন্ত্রী সংসদকে এ কথা জানান।

কুমিল্লা-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, রাজধানী ঢাকার হাজারীবাগে বিদ্যমান ট্যানারি শিল্পগুলো স্থানান্তরকল্পে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার কান্দিবৈলারপুর ও চন্দ্রনারায়ণপুর মৌজা এবং কেরানীগঞ্জ উপজেলার চরনারায়ণপুর মৌজাধীন ১৯৯ দশমিক ৪০ একর জমির ওপর পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্পনগরী স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শিল্পনগরীতে সিইটিপি এবং ডাম্পিং ইয়ার্ড ছাড়া প্রায় সব অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বরাদ্দপ্রাপ্ত ১৫৫টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে বিসিকের কাছে দাখিলকৃত ১৫২টি প্রতিষ্ঠানের লে-আউট প্ল্যান ইতোমধ্যে অনুমোদন করা হয়েছে। তন্মধ্যে ১৪৮টি শিল্প ইউনিট নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।

মন্ত্রী বলেন, যেসব শিল্পোদ্যোক্তা ট্যানারি শিল্পগুলো চামড়া শিল্পনগরীতে কারখানা নির্মাণ শুরু করেছে তাদের ক্ষতিপূরণের অর্থ বিতরণের জন্য নীতিমালা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত চারটি প্রতিষ্ঠানকে স্থানান্তরের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে নির্মাণের পাশাপাশি ট্যানারি শিল্প কারখানাগুলোর স্থানান্তরের কার্যক্রম সম্পন্ন করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। তৃতীয় সংশোধিত প্রকল্প অনুযায়ী জুন ২০১৬-এর মধ্যে প্রকল্পটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।

এসআই/এআরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।