দারিদ্র্য কমাতে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে


প্রকাশিত: ০৮:৩৬ এএম, ২০ অক্টোবর ২০১৬

দেশের ২৮ মিলিয়ন মানুষ এখনো দারিদ্র্য সীমার নিচে রয়েছে। তাদের  দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে বের করতে হলে সমতা ও অধিক কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য লেবার ও সোশ্যাল ইনস্যুরেন্স সমন্বয় করা যেতে পারে। বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনে অনেক ভালো করেছে, তবে আরো ভাল করার সুযোগ আছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এই সব কথা বলেন। সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিও ফান, পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. রুশিদান ইসলাম রহমান, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিল্লার রহমান, বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রাম লিডার ইফফাত শরিফ।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছাতে ১ কোটি ২৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করতে হবে। এত বিশাল পরিমাণ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা অনেক কঠিন। তবে আমরা পারবো। আমরা অনেক ভালো করেছি। আরো ভালো করার সুযোগ আছে। সব মানুষকে অর্থনীতির মূল স্রোতে আনতে হবে।

তিনি বলেন, অর্থনীতির সব সূচক ঠিকভাবে চলছে বিষয়টা এমন না। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি। ২০৩০ সালের আগেই দারিদ্র্য হটাবো। দারিদ্র্যকে জয় করবো।

চিমিও ফান বলেন, বাংলাদেশের ২৮ মিলিয়ন মানুষ এখনো দারিদ্র্য সীমার নিচে রয়েছে। তাদেরকে উপরে আনতে হলে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। দারিদ্র্যের হার সহনশীল পর্যায়ে আনতে সমতা ও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।  

হোসেন জিল্লুর বলেন, বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তায় অনেক উদ্ভাবনী কাজ হয়েছে। আগে এক সময় ভিজিএফ কার্ড দিয়ে শুরু করেছিল। এখন স্কুলে উপবৃত্তি দিচ্ছে। বাংলাদেশের এই উদ্ভাবনগুলো বিশ্বের কাজে লাগতে পারে।

এমএ/এনএফ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।