২৪ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানিতে অনুমোদন


প্রকাশিত: ০৩:১৬ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০১৬

২০১৭ সালের জন্য সরকার টু সরকার (জি টু জি) পর্যায়ে তিন ক্যাটাগরির প্রায় ২৪ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করছে সরকার।

বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অনুপস্থিতিতে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠক হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমদানিতব্য জ্বালানি তেলের মধ্যে ১৯ লাখ ২০ হাজার টন গ্যাস অয়েল, ২ লাখ ১০ হাজার জেট এ-১ অয়েল ও ২ লাখ ৬০ হাজার টন ফারনেস অয়েল। কুয়েতসহ ৯টি দেশ থেকে এ জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। আমদানি করা জ্বালানি তেলের পরিমাণ সারা বছরের মোট চাহিদার অর্ধেক।

জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে দেশে উল্লিখিত তিন ক্যাটাগরির জ্বালানি তেলের মোট চাহিদার পরিমাণ ৪৬ লাখ ৮০ হাজার টন। এর মধ্যে ৩৮ লাখ টন গ্যাস অয়েল, ৩ লাখ ৮০ হাজার জেট এ-১ অয়েল ও ৫ লাখ টন ফারনেস অয়েল।

সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বছর থেকে দেশের মোট জ্বালানি চাহিদার ৫০ শতাংশ জি টু জি বা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে শুধু তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কেনার কথা বলা হয়েছে। এ কারণে জি টু জি পদ্ধতিতে চাহিদার অর্ধেক জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।

জ্বালানি তেল আমদানি প্রস্তাব অনুযায়ী, কুয়েতের কেপিসি, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল, আরব আমিরাতের ইনোক, চীনের পেট্রোচায়না-ইউনিপেক ও ঝেনহুয়া, ফিলিপাইনের পিনোক, ভিয়েতনামের পেট্রোলাইমেক্স, ইন্দোনেশিয়ার বুমি সিয়াক, থাইল্যান্ডের পিটিটিটি ও ওমানের ওটিএল থেকে তেল আমদানি করা হবে।

এমইউএইচ/জেএইচ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।