চার প্রতিষ্ঠান পেল ট্যানারি স্থানান্তরের ক্ষতিপূরণ


প্রকাশিত: ০৯:৪১ এএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

হাজারীবাগ থেকে চামড়া শিল্পনগরী স্থানান্তরে সরকার দেওয়া প্রতিশ্রুতির ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চারটি প্রতিষ্ঠানকে ৭৪ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে রয়েছে, মেসার্স মামুন ট্রেডার্সকে ২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, মেসার্স মক্কা মদিনা লেদার কমপ্লেক্সকে ১২ লাখ ১৩ হাজার, মেসার্স রাজিব লেদার কমপ্লেক্সকে ২২ লাখ ৮২ হাজার এবং মেসার্স ফেন্সি লেদার কমপ্লেক্সকে ৩৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

এসময় মন্ত্রী বলেন, চামড়া শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এ মুহুর্তে যারা আগে ব্যবসা শুরু করতে পারবে তারা ইউরোপ-আমেরিকার বাজার দখল করতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, বরাদ্দপ্রাপ্ত ১৫৫টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে ১৫২টি প্রতিষ্ঠান লে-আউট প্ল্যান জমা দিয়েছে। যা ইতোমধ্যে বিসিক অনুমোদ করেছে। ৫১টি শিল্প ইউনিট পাইলিংসহ কারখানা নির্মাণের মূল কাজ শুরু করেছে। ৩৯টি শিল্প ইউনিট বাউন্ডারী ওয়াল ও গার্ড শেড নির্মাণ করেছে। ৩২টি শিল্প ইউনিট শুধু বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করেছে। ২৬টি প্রতিষ্ঠান গার্ড শেড নির্মাণ করেছে।

অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জনানো হয়, শিল্পগনরীতে ১৫৫টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ বরাদ্দ করা হয়। ক্ষতিপূরণের অর্থ বিতরণের জন্য বিএফএলএলএফইএ’র আওতাধীন ৫৫টি শিল্প ইউনিটের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৪০ কোটি ৫৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং বিটিএ’র আওতাধীন ৯৫টি শিল্প ইউনিটের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০৯ কোটি ৩৩ লাখ ২৩ হাজার টাকাসহ মোট ২৪৯ কোটি ৯০ লাখ ৭১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ব্যয় নিরূপন করা হয়।

ক্ষতিপূরণের জন্য গটিত কমিটি হাজারীবাগ সরেজমিনে পরিদর্শন করে ৪টি শিল্প ইউনিটের অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়ার ক্ষতিপূরণ নিরুপন করতে পারে নি।  এছাড়া অংশীদারদের মতবিরোধের কারণে ১টি ইউনিটের ক্ষতিপূরণ নিরূপন করা হয়নি।

মন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন রক্ষার জন্য হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সরানোর জন্য বহুদিন ধরে কথা চলছে। কিন্তু কেউ কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ বিষয়ে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আজ চারটি প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপুরণের চেক প্রদানের মাধ্যমে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সরানোর কাজ বাস্তবে রুপ নিলো। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যায়ক্রমে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে।

উল্লেখ, প্রকল্প বরাবর এ পর্যন্ত ১৭টি শিল্প কারখানা মালিক ক্ষতিপূরণের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরণের ১০ শতাংশের সমপরিমাণ চেক দেওয়া হয়। বাকি ১৩টি আবেদনপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এসআই/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।