বীমা খাতের উন্নয়নে প্রয়োজন জনসচেতনতা


প্রকাশিত: ০১:৪৩ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বাংলাদেশের ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) প্রেসিডেন্ট বিএম ইউসুফ আলী বলেছেন, জনগণের মধ্যে বীমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই এ খাতের বিদ্যামান সমস্যা সমাধান করতে হবে। বীমার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণের মাঝে সচেতনা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

রোববার রাজধানীর মতিঝিলে বিআইএফ কার্যালয়ে ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) ও বিআইএফের মধ্যে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আইআরএফ সভাপতি গোলাম সামদানী।

সভায় বিআইএফ প্রেসিডেন্ট ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বি এম ইউসুফ আলী বলেন, বীমা সম্পর্কে জনগণের মাঝে যত সচেতনতা বাড়বে ততই এ সেক্টরের উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, বীমা কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় নিয়ে যেসব খবর প্রকাশ করা হচ্ছে, তার মধ্যে কিছু কিছু বিভ্রান্তি আছে। কারণ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় মানে আত্মসাৎ নয়। এই ধরনের খবরে বীমা খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল মো. ফজলুল হক খান, জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. ইমাম শাহীন ও বিশ্বজিৎ কুমার মণ্ডল, জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুল হক খান, ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী একেএম শরিফুল ইসলাম, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদ আনোয়ার খান, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মেজর (অব.) মুহাম্মদ মোসাদ্দিকুল হক, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকে মণ্ডল। আইআরএফ’র সাধারণ সম্পাদক গাযী আনোয়ারুল হক, সহ-সভাপতি গোলাম মওলা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম এম মাসুদ, অর্থ-সম্পাদক রহিম শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম, যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মনির হোসেন, আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার আবু আলী প্রমুখ।

সাধারণ সম্পাদক গাযী আনোয়ার বলেন, বীমা সম্পর্কিত অনেক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকরা অনেক তথ্য পেয়ে থাকে। কিন্তু সেসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে কোম্পানিগুলোর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না। এতে অনেক সময় সঠিক সংবাদ পরিবেশন গণমাধ্যমের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ে।

মুক্ত আলোচনায় যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মনির হোসেন বলেন, গ্রাহকের আস্থা অর্জনেও পিছিয়ে আছে বামী কোম্পানিগুলো। বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে প্রায় ৬ কোটির বেশি গ্রাহক রয়েছে। বীমা খাতে তারও বেশি হওয়া উচিত ছিল।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বিএসএস) সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকরা চাইলেই একটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে পারে না। আর কোম্পানিগুলো চাইলেই তাদের উন্নয়নের খবর দ্রুত দেশবাসীর কাছে পৌঁছাতে পারে না। এক্ষেত্রে উভয়ের মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদক আলী রিয়াজ বলেন, বীমা কোম্পানির গ্রাহকদের গ্রাহক সেবার ক্ষেত্রে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। গ্রাহকরা টাকা প্রদান থেকে শুরু করে উত্তোলন পর্যন্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।

সভাপতির বক্তব্যে গোলাম সামদানী বলেন, দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বীমা খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও বর্তমানে গার্মেন্টস খাতের পর সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে বীমা খাতে। এই খাতের উন্নয়নের জন্য সকল স্টেকহোল্ডারকে একযোগে কাজ করতে হবে।

এসআই/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।