ফার্নিচার, প্লাস্টিক দ্রব্য, গরুর নাড়িভুঁড়ি রফতানিতে প্রণোদনা


প্রকাশিত: ০১:৩৪ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

প্লাস্টিক দ্রব্য, ফার্নিচার, গরু-মহিষের নাড়িভুঁড়ি, শিংসহ বেশ কিছু পণ্য রফতানিতে নগদ ভর্তুকি বা অর্থসহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে জারিকৃত এক সার্কুলারে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে এ সহায়তা দেওয়া হবে।

দেশের রফতানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতেই ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য এসব পণ্য রফতানিতে নগদ সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিক দ্রব্য, ফার্নিচার, গরু-মহিষের নাড়িভুঁড়ি, শিং, শাক-সবজির বিজ, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন, সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তরিত প্রতিষ্ঠানের ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার, পাটজাত দ্রব্যাদি, পেট বোতল-ফ্লেক্স, আলু, জাহাজ, চামড়াজাত দ্রব্য, হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ, শতভাগ হালাল মাংস ও খড় রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা ঘোষণা করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে ফার্নিচার রফতানির বিপরীতে ১৫ শতাংশ, প্লাস্টিক দ্রব্য ও গরু-মহিষের নাড়িভুঁড়ি রফতানির বিপরীতে ১০ শতাংশ, সাভারের ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রফতানির বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে রফতানি ভর্তুকি দেওয়া হবে। এ ছাড়া শস্য ও শাকসবজির বীজ ও পাটকাঠির কার্বন রফতানির বিপরীতে ২০ শতাংশ হারে রফতানি ভর্তুকি বা প্রণোদনা দেওয়া হবে।

একই সঙ্গে ইউরোপে বস্ত্র খাতের রফতানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের সঙ্গে অতিরিক্ত আরো ২ শতাংশ বিশেষ সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া চামড়াজাত দ্রব্যাদি রফতানি খাতে নগদ সহায়তার হার সাড়ে ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ এবং জাহাজ রফতানির বিপরীতে রফতানি ভর্তুকির হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ এবং আলু রফতানি খাতে ভর্তুকির হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা এবং এ খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা আগের মতো ৪ শতাংশ থাকবে। বস্ত্র খাতে নতুন বাজার সম্প্রসারণে ৩ শতাংশ সহায়তা, হাতে তৈরি পণ্য (হোগলা, খড়, ছোবড়ার পণ্য) ও হালকা প্রকৌশল পণ্য রফতানিতে ১৫ শতাংশ, কৃষিপণ্য ও হালাল মাংস রফতানিতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ বহাল আছে। এছাড়া হিমায়িত চিংড়ি রফতানিতে বরফ আচ্ছাদনের হার ৭ থেকে ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য মাছের ক্ষেত্রে বরফ আচ্ছাদনের হার ২ থেকে ৫ শতাংশ এবং বিভিন্ন ধরনের পাটপণ্য রফতানিতে নগদ ভর্তুকি পণ্যভেদে ৫ থেকে ২০ শতাংশ বহাল আছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংজ্ঞা পুনর্নির্ধারণ করে ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোনো রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে কোনো অর্থবছরে সাড়ে ৩৫ লাখ ডলারের বস্ত্র বা সামগ্রী রফতানি করলে এবং বৃহৎ কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন না হলে পরবর্তী অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্রশিল্প হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে।

এসআই/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।