১৪শ’ কোটি টাকা চেয়েছে বেসিক ব্যাংক


প্রকাশিত: ০৯:৪১ এএম, ০২ আগস্ট ২০১৪

ঋণ কেলেঙ্কারির পর এবার মূলধন ঘাটতি পূরণে সরকারের কাছে জরুরিভিত্তিতে প্রায় ১৪শ’ কোটি টাকা চেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক।

ব্যাংকের নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কনক কুমার পুরকায়স্থ ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি পূরণে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর এ আবেদন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, মূলধন ঘাটতি পূরণে বেসিক ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে একবার আবেদন করা হলেও সরকার এতে সাড়া দেয়নি।

বেসিক ব্যাংকের আবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ অনুধাবন করছে যে, মূলধন ঘাটতির কারণে ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য, ক্যামেল রেটিং ও ক্রেডিট রেটিংয়ে ব্যাপক ঋণাত্মক প্রভাব ফেলছে, যা ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে প্রচণ্ডভাবে বাধাগ্রস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমতাবস্থায় জরুরিভিত্তিতে ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণে সরকারের কাছে পুনরায় আবেদনের জন্য পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক ব্যবস্থাপনাকে নির্দেশ দিয়েছে।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ব্যাসেল-২ অনুসারে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বৃদ্ধি, ঋণের বিপরীতে প্রভিশন ঘাটতি বৃদ্ধি, শ্রেণীকৃত (খেলাপি ঋণ) ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। চলতি বছরের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ ও প্রভিশন ঘাটতি বৃদ্ধিও বিষয়টি বিবেচনায় নিলে মূলধন ঘাটতি ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

আবেদনপত্রে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ৭৮৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

প্রসঙ্গত, সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত ২৯ মে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ধারাবাহিকতায় পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে গত ৬ ও ৭ জুলাই নতুন করে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে সরকার।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।