সাভারে ২ মাসে ৩০ ট্যানারি স্থানান্তরের অঙ্গীকার


প্রকাশিত: ১০:০৭ এএম, ০৩ আগস্ট ২০১৬

সাভারের চামড়া শিল্প-নগরীতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের কাজ পুরোপুরি শেষ করতে আরো দুই মাস সময় চেয়েছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে এই সময়ে অন্তত ৩০টি কারখানা হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরের অঙ্গীকার করেছেন ট্যানারি মালিকরা।

বুধবার দুপুরে সাভার উপজেলার হেমায়েতপুরের হরিণধরা এলাকায় চামড়া শিল্প নগরীর বিসিক কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এই অঙ্গীকার করেন তারা। সভায় নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণ সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স, শিল্প মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং ট্যানারি মালিকরা অংশ নেন।

এ সময় হাজারীবাগ থেকে সাভারে চামড়া শিল্পের কারখানা স্থানান্তর প্রক্রিয়ার ধীরগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণ সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের সভাপতি ও নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর ৩০ শতাংশ দূষণের জন্য ট্যানারি কারখানা মালিকরা দায়ী। ঢাকা শহরের মানুষের নিশ্বাস নিতে এখন কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বারবার দিনক্ষণ ঠিক করা হলেও হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর হচ্ছে না। এর পিছনে মূলত বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণকারী এবং ট্যানারি মালিকরা উভয়েই সমান দায়ী।

তিনি আরো বলেন, ট্যানারি মালিকরা যে দুই মাস সময়ের মধ্যে ৩০টি কারখানা স্থানান্তরের কথা বলেছে। এটি যদি তারা মনে না রাখেন তাহলে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের। এক্ষেত্রে কোনো ক্ষমা তারা পাবেন না।

সভায় টাস্কফোর্সের সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, এনামুর রহমান এমপি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং ট্যানারি মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

আল-মামুন/এমএমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।