ঈদের আগে দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের
সীমিত আয়ের মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম। রমজানের আগেই ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ছিল অধিকাংশ পণ্যের দাম। রমজানের ২৫ দিন পার হলেও বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমছে না। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের আশংকা ঈদের সময় বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
রাজধানীর অধিকাংশ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহ পর্যন্ত বাজার স্থিতিশীল থাকলেও এ সপ্তাহে কম বেশি সব পণ্যের দাম বেড়েছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে টমেটোর দাম বেড়েছে ৩ গুন। রাজধানীর গুলশান, বনানী ও মহাখালী কাঁচাবাজারে চালের দর প্রকারভেদে প্রতি কেজি ৪৭ থেকে ৫২ টাকা, মুসুর ডাল প্রতি কেজির মূল্য ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চিনি প্রতি কেজির মূল্য ৪৮ টাকা, আলু ২৫ টাকা, রসুন প্রতিকেজি ৯০ থেকে ১৬০ টাকা ও মরিচের গুড়ো প্রতিকেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি করেছে দোকানীরা।
এছাড়া বাজারের মাছ, মাংসের দাম গত সপ্তাহের মতো থাকলেও গরম মসলার দাম অধিক। জিরা প্রতি কেজি ৯শ’ থেকে ১১শ’ টাকা, এলাচ ৫০ গ্রাম ১শ’ টাকা, দারুচিনির দামও বেড়েছে। পিয়াজ প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, ছোলা বুট প্রতি কেজির মূল্য ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাচাবাজারের দামও চোখে পড়ার মতো। দুই সাপ্তাহ আগে যে টমেটোর দাম ছিল সর্বোচ্চ ৪০ টাকা, আজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া কাকরোল প্রতিকেজির দর ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কাচা কলা ১ হালি ৩০ টাকা, পুইশাক প্রতি কেজি ২৫ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং কাচামরিচ প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাচাবাজারের এ উর্ধমূখীর ভাব সম্পর্কে বিক্রেতা আলী ইমাম বলেন, উৎপাদন খরচ এবং যাতায়াত খরচসহ মালামাল বাজারে পৌঁছাতেই খরচ বেশি হওয়ায় আমরা আর কম দামে বিক্রি করতে পারছি না।
আরএম/আরএস/পিআর