শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি


প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ২৯ জুন ২০১৬

এই মুহূর্তে শেয়ারবাজারকে সহায়তা দেয়ার জন্য ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া।

বুধবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।

ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া বলেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের প্রচুর বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এই মুহূর্তে বাজারকে সহায়তা দেয়ার জন্য ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। এক্সপোজার সমস্যা প্রায় সমাধান হয়ে গেছে এবং ব্যাংকের নতুন করে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। একটি দীর্ঘমেয়াদি গতিশীল বাজার গড়ে তুলতে পুঁজিবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংগঠন এবিবির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে বড় পরিসরে একটি ডাটা সেন্টার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডিএসইর ডাটা সেন্টার ব্যবহারের প্রস্তাব দেন তিনি।

ডিএসইর ডাটা সেন্টারের প্রস্তাব একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে এবিবি নেতারা বলেন, বিগত দিনে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির বাজার মূল্য কাঙ্খিত মূল্যে পৌঁছাচ্ছে না। অধিকাংশ ব্যাংক সব সময়ই ১০ শতাংশ বা তারও অধিক হারে লভ্যাংশ প্রদান করা সত্ত্বেও বাজার মূল্য নেট অ্যাসেট ভ্যালুর নিচে অবস্থান করছে। এই বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।

পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি না আসার ব্যাপারে এবিবি কর্মকতারা বলেন, অনেক ধাপ অতিক্রম করে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর বছরের একদিন (বার্ষিক সাধারণ সভা-এজিএম) অনাকাঙ্ক্ষিত এমন সব পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হয়, এতে ভালো মৌলভিত্তি কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে নিরুৎসাহিত হয়।

এছাড়াও তারা পুঁজিবাজারের যে কোন ধরনের নিয়মনীতিগুলো প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে আলোচনা করার অনুরোধ জানান। দেশে ব্যবসারত অতালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি করার দাবি জানান এবিবি কর্মকর্তারা।

বৈঠকে এছাড়া সচেতনতামূলক কর্মসূচি, বিদেশী বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার জন্য রোড শো, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ডিএসইর প্রতিনিধি, ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধানদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন, বিও হিসাবের ফি হ্রাসকরণ, বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক প্রচারণা, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইপিও, পুঁজিবাজারে ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
 
বৈঠকে এবিবি চেয়ারম্যান ও এমটিবিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সচিব ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, বোর্ড অব গভর্নরের সদস্য ও পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল হালিম চৌধুরী ও বোর্ড অব গর্ভনরের সদস্য ও সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদ হোসেইন, ডিএসইর পরিচালক রুহুল আমিন, অধ্যাপক ড. এম কায়কোবাদ, মোঃ শাকিল রিজভী, খাজা গোলাম রসূল, মোহাম্মদ শাহজাহান ও ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটওয়ারী উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।