পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয় কমছে


প্রকাশিত: ০৮:০০ এএম, ১৯ জুন ২০১৬

কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ১১ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে আয় হয়েছে ৭৯ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ কোটি ৪৩ লাখ ডলার কম।

বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির তথ্য অনুসারে, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ১১ মাসে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৫ কোটি ৪৩ লাখ ১০ হাজার ডলার। এই সময়ের মধ্যে আয় হয়েছে ৮২ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ কম।

এর মধ্যে কাঁচা পাট রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার, পাটের সুতা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ কোটি মার্কিন ডলার।

ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে কাঁচা পাট রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছে ১৪ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৮ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি।

একই সঙ্গে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৪ শতাংশ ১৭ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাতে।

এতে জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পাটের সুতা রফতানিতে আয় হয়েছে ৫০ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের তুলনায় এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ কমেছে।

আলোচ্য সময়ে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতে আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার।

এমএ/এনএফ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।