প্রবাসী অর্থ প্রেরণে মোবাইল ব্যাংকিং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে
বিদেশ থেকে প্রবাস আয় প্রেরণের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা এখনো বেশি অর্থ পাঠায়। কিন্তু লেনদেনে ঝামেলা কম থাকায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বাড়ছে। সরকারি সংস্থার এক প্রতিবেদন এ তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘প্রবাস আয়ের বিনিয়োগ সম্পর্কিত জরিপ ২০১৬’ এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, প্রবাসীদের কাছ দেশে অর্থ প্রেরণে সর্বাধিক ব্যবহৃত মাধ্যম হচ্ছে ব্যাংক। ৫০ দশমিক ৭২ শতাংশ প্রবাসী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠান। এরপরের অবস্থানে আছে মোবাইল ব্যাংকিং। বিকাশ ও অন্য ব্যাংকের মোবাইল লেনদেনের মাধ্যম যার হার হচ্ছে ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। এছাড়া ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মানিগ্রাম (১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ) এবং হুন্ডির মাধমে ১২ দশমিক ৩১ শতাংশ টাকা পাঠানো হয়।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন অর্থনৈতিক শুমারি-২০১৩ এর প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন। তিনি বলেন, দেশে মোট প্রবাসী আয়ের ২২ দশমিক ১০ শতাংশ আসছে ব্যাংকিং বা মোবাইল চ্যানেলের বাইরে। যা আইনগতভাবে বৈধ নয়। তবে মোট অর্থের ৭৭ দশমিক ৯০ শতাংশ টাকা বৈধ পন্থায় দেশে পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা।
সব প্রবাসী আয়ের মধ্যে ৯৬ শতাংশ নগদ হিসেবে এবং অবশিষ্ট চার শতাংশ দ্রব্যমূল্য হিসেবে প্রেরণ করা হয়ে থাকে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ সাধারণত প্রবাসীদের বাবা-মা বা স্বামী-স্ত্রী গ্রহণ করে থাকেন। ৪৪ দশমিক ১৮ শতাংশ খানায় বাবা-মা এবং ৪১ দশমিক ৭৮ শতাংশ খানায় স্বামী-স্ত্রী প্রবাস আয় গ্রহণ করেন।
প্রতিবেদন প্রকাশের সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কেএম মোজাম্মেল হক, পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক আব্দুল ওয়াজেদ প্রমুখ।
এমএ/বিএ