নতুন বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য শুরু হচ্ছে জমি অধিগ্রহণ


প্রকাশিত: ০৮:১৮ পিএম, ১৩ জুন ২০১৬
ফাইল ছবি।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নতুন আরো একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার। এজন্য সাড়ে ৩ শ একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সরকার । এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৫০৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে।  রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে ’আরপিসিএল মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় স্থাপিত ৩৫০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ” শীর্ষক একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা মোতাবেক মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইমামপুর ইউনিয়নে ষোলআনী ও দৌলতপুর মৌজায় এই জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সরকার গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশাপাশি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে জোর দিচ্ছে। সুদূরপ্রসারী চিন্তা থেকে এ কাজ করছে সরকার। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে শিগগিরই বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।  

কমিশন সূত্র জানায়, মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৪৫৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ৪৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে । এ অর্থ দিয়ে জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি ভূমি উন্নয়ন, উন্নয়নকৃত ভূমি রক্ষার জন্য চতুর্দিকে বাঁধ নির্মাণ ও সুরক্ষা এবং বৈদ্যুতিক সুবিধাদি স্থাপনার কাজ করা হবে।

খাত ভিত্তিক বরাদ্দ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রকল্পের মূল ব্যয় হবে জমি অধিগ্রহণে ১৭০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, পুনর্বাসন কাজে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, ভূমি উন্নয়ন খাতে ১১৭ কোটি ৭১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, পরামর্শক খাতে ১৪ কোটি, বাঁধ নির্মাণে ২৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং ভূমি রক্ষামূলক কাজে ১৩১ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

এমএ/এসকেডি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।