শেয়ারবাজারে প্রণোদনা নেই তবুও জেগে ওঠার স্বপ্নে অর্থমন্ত্রী
পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্জিন ঋণ ও সুদ মওকুফের ঘোষণা ছাড়া বিশেষ কোনো প্রণোদনা দেয়া হয়নি প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে। তারপরও শেয়ারবাজার এবার জেগে উঠবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব ঘোষণাকালে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যদিও শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের করমুক্ত আয়সীমাসহ স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরণ (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন) বাস্তবায়নের পরবর্তী পাঁচ বছর শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা ও বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক করহার কমানোসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছিলেন।
প্রস্তাবে বলা হয়, পুঁজিবাজারের মার্জিন ঋণ ও সুদ (১০ লাখ টাকা পর্যন্ত) মওকুফজনিত সুবিধা করযোগ্যতা থেকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে অব্যাহতি প্রদান।
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, দেশের শেয়ারবাজার এখন নিয়মমাফিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং স্থিতিশীলতা এসেছে। একই সঙ্গে ফটকাবাজির (কারসাজিমূলক লেনদেন) অবসান এবং নির্মূল হয়েছে। এ কারণে শেয়ারবাজার এবার জেগে উঠবে।
শেয়ারবাজারের শৃঙ্খলা বজায় রাখা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা, সিকিউরিটিজ আইন প্রতিপালন ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নানা সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত আছে বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
পুঁজিবাজারে সরকারের অর্জন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাজেট প্রস্তাবে শেয়ারবাজার প্রসঙ্গে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া আইপিও প্রক্রিয়ায় শেয়ারবাজার থেকে মূলধন উত্তোলন বিষয়ক আইনের সংশোধন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, বর্তমানে শেয়ারবাজার থেকে প্রতিবছর প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করা হচ্ছে।
এসআই/একে/আরআইপি