বিশ্ববাজারে রাজত্ব করবে প্রাণ
দেশের শীর্ষস্থানীয় খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণের মুখরোচক সব খাবারের পাশাপাশি গ্রুপের উৎপাদিত সকল পণ্য এখন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর সব দেশেই নিজেদের সীমানা বিস্তার করছে। খুব শিগগিরই বিশ্ববাজারে প্রাণ রাজত্ব করবে।
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ১৫তম ওআইসি মেলায় থাকা প্রাণের দুটি স্টল পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রাণ-এর জেনারেল ম্যানেজার (এক্সপোর্ট-সৌদি আরব) মামুনুর রশিদ।
রিয়াদের আন্তর্জাতিক কনভেনশন এবং এক্সিবিশন সেন্টারে এই ১৫তম ওআইসি ট্রেড ফেয়ারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় ২২ মে (রোববার)। পাঁচ দিনব্যাপী এই মেলার শেষ হয় বৃহস্পতিবার।
‘মেড ইন বাংলাদেশ : আমাদের ব্র্যান্ড আমাদের গর্ব’ শিরোনামে আন্তর্জাতিক এ মেলায় প্রাণসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের ৩৬টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিত্ব করে।
মামুনুর রশিদ বলেন, মেলায় প্রাণের দুটি স্টলে ক্রেতা দর্শকদের যতটা সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা শতভাগ আনন্দিত। মেলায় অংশগ্রহণ করাটা আমাদের জন্য সম্পূর্ণ স্বার্থক হয়েছে। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে সৌদি আরবের বাজারে নিজেদের মানসম্মত পণ্য দিয়ে অল্প অল্প করে সৌদি আরবের বৃহৎ বাজারে প্রবেশ করে আজ আমরা মেইড ইন বাংলাদেশের প্রাণ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি।
সৌদি আরবের প্রতিটি অঞ্চলে নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে সৌদিদের ঘরে ঘরে প্রাণের পণ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রাণ গ্রুপ। পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে সৌদিদের কাছে আমরা পৌঁছে দিয়েছি একটি নাম, সেটি হলো মেইড ইন বাংলাদেশ। প্রবাসে আমাদের গর্ব করার মত তেমন কিছু না থাকলেও প্রাণের সৌজন্যে আমরা সে গর্ব অনুভব করতে পারি। আমাদের তৈরি মুখরোচক সব খাবারের পাশাপাশি প্রাণ গ্রুপের উৎপাদিত সকল পণ্য এখন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর সব দেশেই একে একে নিজেদের সীমানা বিস্তার করছে।
তিনি বলেন, শুধু সৌদি আরব নয়, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানিসহ ইউরোপের অনেকগুলো দেশে প্রাণের পণ্য প্রতিনিয়ত রফতানি হচ্ছে। এসব দেশে অনুষ্ঠিত যে কোনো মেলাতে প্রাণের উৎপাদিত নতুন নতুন সব পণ্য অংশ নিচ্ছে। তবে এসব কিছুর মূলে রয়েছে সরকার ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সর্বাত্মক সহযোগিতা। এ কারণে আমরা এখন নিজেদের দেশে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বিশ্বের অনেকগুলো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারছি।
সেই ১৯৮১ সাল থেকে আমাদের পথচলা শুরু। আমরা ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু করে আজ বাংলাদেশের এক নম্বর কোম্পানিতে রূপান্তরিত হতে পেরেছি। বর্তমানে খাদ্য সামগ্রীর উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের ৫০০টির অধিক পণ্যের বিশাল সম্ভার রয়েছে। বর্তমানে দেশের দুই লাখের অধিক দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে আমাদের প্রাণ গ্রুপের ২৫টির অধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান।
মামুনুর রশিদ আরো বলেন, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের ১২৪টিরও বেশি দেশে নিয়মিত রফতানি হচ্ছে প্রাণ গ্রুপের পণ্য সামগ্রী। এর স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাণ কোম্পানিকে টানা দশবার শ্রেষ্ঠ জাতীয় রফতানি ট্রফি প্রদান করেছে বাংলাদেশ সরকার।
এছাড়া জাতীয় রফতানি বৃদ্ধি এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখায় রফতানি খাতে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘শ্রেষ্ঠ জাতীয় রফতানি ট্রফি (স্বর্ণ)’ পদক পেয়েছে প্রাণ এক্সপোর্টার্স লিমিটেড। এ বিরল সম্মানের কারণে দেশের স্বার্থে বহির্বিশ্বের দেশগুলোতেও মানসম্মত পণ্যের মাধ্যমে প্রাণ প্রথম হওয়ার প্রত্যাশা করছে।
একে/এমএস