প্রতিটি ব্যাংকে অর্থ পাচার রোধে ইউনিট


প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে বিধিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার তফসিলি ব্যাংকগুলোর পরিপালনে এই বিধিমালা জারি করা হয়।

বিধিমালা বলা হয়, এখন থেকে সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকে অর্থ পাচার রোধে একটি কেন্দ্রীয় অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে ইউনিট থাকবে। এ ইউনিট সরকারি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর অধীনে কাজ করবে। ইউনিটের সদস্য থাকবে ৫ জন। তারা ব্যাংকের সার্বিক অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে কাজ করবে। ইউনিট প্রধান হবেন একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট বা সহকারি মহাব্যবস্থাপক।

প্রতিটি শাখাতে একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তাও এই দায়িত্বে থাকবে বলে আদেশে বলা হয়। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, গঠিত ইউনিট প্রতি ৬ মাস পর প্রধান নির্বাহীকে রির্পোট করবেন। প্রধান নির্বাহী তার মতামতসহ রিপোর্টটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগে পাঠাবে।

অন্যদিকে শাখার কর্মকর্তা তিন মাস পর সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করে শাখার চিত্র পর্যালোচনা করবে। বিশেষ করে যেসব ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাদের দিকে আরও কঠোর নজরদারির বিষয়টি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, যেসব ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং করছে তাদের প্রতিটি ধাপ সর্তকভাবে পরিপালন করতে হবে। গ্রাহক হিসাব খোলা ও লেনদেনে সর্তকতা রাখতে হবে।

এছাড়া প্রজ্ঞাপনে নতুন করে গ্রাহক হিসাব খোলার ক্ষেত্রে একটি নমুনা আবেদন ফরমও দেওয়া হয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।