পোশাককর্মীদের বেতন-বোনাস পরিশোধ সম্পন্নের দাবি বিজিএমইএর

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:১৯ এএম, ২৮ মার্চ ২০২৫
ফাইল ছবি

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের পোশাকশ্রমিকদের বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিএমইএ।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএ প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সরকার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে ব্যাংকগুলোকে প্রণোদনার অর্থ ছাড় করতে নির্দেশ দেওয়ার কারণে উদ্যোক্তারা নির্বিঘ্নে ফেব্রুয়ারির বেতন, মার্চ মাসের আংশিক/পূর্ণ বেতন এবং উৎসব ভাতা পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ করে ছাড়ের অর্থ প্রথমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলোকে ও পরে বড় কারখানাগুলোকে দেওয়ার কারণে এ বছর পোশাকখাতে বেতন-ভাতা পরিশোধকে ঘিরে তেমন কোন সংকট সৃষ্টি হয়নি।

বেতন-বোনাস পরিশোধে সহায়তা করায় অর্থ উপদেষ্টা, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, সেনাবহিনী, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রমিক নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ঈদের আগে বেতন ভাতা বিষয়ে সমস্যা হতে পারে এরকম ৪৪৫টি কারখানা প্রতিষ্ঠানকে ক্লোজ মনিটরিংয়ের আওতায় এনে বিজিএমইএ সমস্যার ধরন বুঝে সমাধানের উদ্যোগ নেয়। বিজিএমইএ এর সরাসরি হস্তক্ষেপে সমস্যাপূর্ণ প্রায় শতাধিক কারখানার শ্রমিকদের বেতনভাতাদি নিশ্চিত করা হয়েছে।

পোশাকখাতে ২৭ মার্চ পর্যন্ত বেতন-ভাতা পরিশোধের চিত্র

পোশাকখাতে সর্বমোট চালু কারখানার সংখ্যা ২১০৭টি (ঢাকা অঞ্চলে ১৭৬৯টি এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩৩৮টি কারখানা)।

ফেব্রুয়ারির বেতন পরিশোধ করেছে ৯৯.৫৩% কারখানা।

মার্চের ১৫/৩০ দিনের বেতন পরিশোধ করেছে ৮৩.২০% কারখানা।

ঈদের বোনাস পরিশোধ করেছে ৯৪.৭৮% কারখানা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কিছু কারখানা ২৮ মার্চ এবং ২৯ মার্চ বেতন-ভাতা পরিশোধ সম্পন্ন করবে। ২৯ মার্চের মধ্যেই প্রায় শতভাগ পোশাক কারখানায় মার্চ মাসের আংশিক/পূর্ণ বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হবে।

বিজিএমইএর নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদের ছুটিতে মহাসড়কগুলোকে যানজট কমানোর জন্য কারখানাগুলো শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ঈদের ছুটি দিচ্ছে, যা ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। ২৯ মার্চ এর মধ্যে সব শ্রমিকরা ঈদের ছুটিতে চলে যাবেন।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্ধে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে এবং মহাসড়কগুলোতে বিশেষ বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করার জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিজিএমইএ প্রশাসক।

বিজ্ঞাপন

আইএইচও/জেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।