শিশুদের পোশাকে ভরপুর দোকান, বিক্রিও ভালো

দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। বিশেষ এ দিনটি আরও আনন্দময় করতে সবারই চাহিদা থাকে নতুন পোশাকে। তবে ঈদে সবচেয়ে বেশি খুশিতে থাকে শিশুরা। নতুন পোশাক তাদের এ আনন্দ যেন আরও বাড়িয়ে দেয়।
ঈদের কেনাকাটার এখন বলা যায় শেষ মুহূর্ত চলছে। এখনো যারা কেনাকাটা শেষ করতে পারেননি তারা বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে পছন্দের পোশাক কিনছেন। পরিবারের শিশুদের পোশাকের প্রতি সবাই একটু বেশিই যত্নশীল। তাই শিশুদের পোশাকের ক্ষেত্রে আরামদায়ক পাতলা কাপড়ের দিকে ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি। শিশুদের বাহারি সব কাপড়ের দোকানে বিক্রিও বেশি।
বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেট ও আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, ঈদের কেনাকাটা করার সময় প্রথমে বাসার ছোট বাচ্চার কথা চিন্তা করি। বাচ্চাদের জন্যই প্রথমে কেনাকাটা করা হয়। বাসার সন্তানদের নিয়েই মূলত ঈদের আনন্দ, এজন্য পরিবারের শিশুদের জন্য কেনাকাটা সবার আগে।
বিক্রেতারা বলছেন, বড়দের পোশাকের তুলনায় শিশুদের পোশাকের বিক্রি বেশি। কেননা বাবা-মা তার সন্তানের জন্যই প্রথমে কেনাকাটা করেন। এবার রমজানের প্রথম থেকে ভালো বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিশুদের জন্য অভিভাবকরা হালকা-পাতলা, গরমে আরামদায়ক পোশাক কিনছেন। এসব পোশাকের দাম বয়সভেদে পার্থক্য রয়েছে। এক থেকে তিন বছরের শিশুদের জন্য ফতুয়া-প্যান্ট ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, জামা ২৫০ টাকার মধ্যে, টি-শার্ট ১০০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাঁচ থেকে আট বছরের শিশুদের জিন্স প্যান্ট ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, টি-শার্ট এবং শার্ট ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী মেয়েদের ফ্রগ এবং জামা ৫০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা কল্পনা আক্তার বলেন, আগামীকাল পরিবারসহ গ্রামে চলে যাবো ঈদ করতে। বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন মিলে বেশ কয়েকজন শিশু আছে। তাদের জন্য কেনাকাটা করতে আসলাম। দাম মোটামুটি ভালো।
আরেক ক্রেতা সোবহান মাতবর বলেন, আমার ফ্যামিলি বাড়িতে থাকে। এক ছেলে এক মেয়ের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। সন্তানদের আনন্দই আমাদের ঈদ। তবে শিশুদের পোশাকের দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। এখন শেষ বাজারে দোকানদাররা দামাদামি করতে চায় না। এক দামে কিনতে হয়। তাই একেবারে বেশিও রাখতে পারে না।
নিউমার্কেটের চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের দোকানি মশিউর বলেন, বাচ্চাদের পোশাকের বরাবরই চাহিদা বেশি থাকে। এবারও ভালো বিক্রি হচ্ছে। আমাদের বিক্রি বেশি হয়, তাই লাভ কম রাখি।
আরেক ব্যবসায়ী নাসিরুল আজম বলেন, রমজানের শুরু থেকেই বাচ্চাদের কাপড়ের চাহিদা আছে। বিক্রিও ভালো। বাচ্চাদের কাপড়ের কেনাকাটা অনেকেই আগে সেরে ফেলেন। তারপরও এখনো ভালো বিক্রি হচ্ছে।
এদিন নিউমার্কেট এলাকায় ঘুরে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। অনেকেই ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার আগে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করছেন।
এনএস/কেএসআর/জেআইএম